নতুন দিগন্তের পথে নোবিপ্রবি
২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। জুলাই অভ্যুত্থানের এক মাসের মাথায় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পত্র জারি করে দেওয়া হলো এক গুরুদায়িত্ব। অপেক্ষাকৃত নবিশ এ অধ্যাপকের কাঁধে এলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যভার। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আনন্দ, জুলাই অভ্যুত্থানে ঝরে পড়া তাজা প্রাণগুলোর স্মরণে অশ্রুজল, তারুণ্যের মিছিল আর স্লোগান থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব অংশীজনের একরাশ প্রত্যাশা পূরণের একটি বড় চ্যালেঞ্জ- এমন মিশেল অনুভূতির মধ্য দিয়েই দায়িত্ব গ্রহণ করি। এ দায়িত্ব শুধু আমার জন্য নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষের জন্য ছিল একটি নতুন সূচনার প্রতীক। জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে দেশ যেমন নতুন পথের সন্ধানে ছিল, তেমনি নোবিপ্রবিও প্রত্যাশা করেছিল নতুন দিগন্ত উন্মোচনের। গত এক বছরে আমরা চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং স্থানীয় জনগণের প্রত্যাশা পূরণে একটি আধুনিক, গবেষণাভিত্তিক এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে। আজ দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তিতে আমাদের গৃহীত উদ্যোগ, সাফল্য এবং আগামীর অগ্রযাত্রার কিছু কথা এখানে তুলে ধরতে চাই।
মুহূর্তগুলো কেমন অজান্তেই পেছনে চলে যায়। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এক বছর পেরিয়ে গেল। এই এক বছরে প্রতিদিনকার পরিশ্রম, চ্যালেঞ্জ, আনন্দ, সাফল্য এবং সীমাবদ্ধতার ভেতর দিয়ে আমার পথচলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় নামের যে পরিবারে আমি নেতৃত্ব দিচ্ছি, সেখানে প্রতিটি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীর সহযোগিতা আমাকে শুধু সাহসই দেয়নি, দিয়েছে এক অনন্য প্রেরণা।
বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৬ সালে যাত্রা করে নোবিপ্রবি। ভৌগোলিকভাবে প্রান্তিক অঞ্চলের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও একটি দ্রুত বিকাশমান প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি রয়েছে নোবিপ্রবির। বর্তমানে নোবিপ্রবির দশ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, চারশর অধিক শিক্ষক, ৬টি অনুষদ, ৩১টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউট নিয়ে একটি প্রাণবন্ত পরিবার। দায়িত্ব গ্রহণকালে আমার সামনে ছিল অবকাঠামো সংকট, গবেষণা বরাদ্দের অপ্রতুলতা, শিক্ষক স্বল্পতা, মানসম্মত আবাসন, পরিবহন এবং চিকিৎসাসেবার ঘাটতিসহ অসংখ্য চ্যালেঞ্জ। সবকটি সংকটই সমাধানযোগ্য। প্রয়োজন শুধু অর্থ, সময়, সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন। এজন্য আমরা স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করি। বিদ্যমান রিসোর্সের সর্বোচ্চ ব্যবহারই আমাদের মূল লক্ষ্য। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমাদের কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল, কীভাবে নোবিপ্রবিকে একটি সেন্টার অব এক্সিলেন্সে রূপ দেওয়া যায়। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ হলো গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞানের সৃজন। এ লক্ষ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে, পিএইচডি গবেষক প্রতি মাসে চল্লিশ হাজার টাকার ফেলোশিপ পাবেন। গবেষণালব্ধ ফলাফল আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান জার্নালে প্রকাশিত হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। প্রণোদনা ও সম্মাননা অংশীজনদের কাজের প্রতি দায়িত্ববান ও উৎসাহী করে তোলে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ বর্তমান প্রশাসন প্রথমবারের মতো ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড, রিসার্চ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড, ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড। তরুণ ও নারী গবেষকদের সম্মাননা জানাতে প্রবর্তন করেছি বিশেষ অ্যাওয়ার্ড। গবেষণা সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন ড্রাগ ট্রায়ালের জন্য একটি বিশেষায়িত অ্যানিম্যাল হাউস চালু করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের গবেষণা বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে ২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে প্রথমবারের মতো রিসার্চ ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মানিত করতে উপাচার্য বাংলোতে ‘মিট উইথ দ্য ভাইস চ্যান্সেলর’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। উন্নত গবেষণার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ও কাক্সিক্ষত বরাদ্দ নিশ্চিত করাটা জরুরি।
যদিও সরকারের নিয়মিত বরাদ্দ দিয়ে সেটা সামাল দেওয়া দুরূহ। এজন্য আমরা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীন পরিচালিত হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পকে একটি সুযোগ হিসেবে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। শিক্ষকদের জন্য গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাবনা লিখন, চূড়ান্তকরণ ও উপস্থাপন বিষয়ে বেশ কয়েকটি বিশেষ আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এর সুফলও পেয়েছে নোবিপ্রবি। ৬টি উপপ্রকল্প পেয়েছে নোবিপ্রবির সম্মানিত শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষক দল। হিট প্রকল্পের অধীন উপপ্রকল্প প্রাপ্তির দিক থেকে নোবিপ্রবির অবস্থান শীর্ষ দশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়। এ ছাড়া সরকারের জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান ও তহবিল প্রাপ্তির আবেদনের নোবিপ্রবি আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। গবেষণার পাশাপাশি প্রশিক্ষণেও আমরা বেশ গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের মাধ্যমে নিয়মিতই শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বিশেষায়িত ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
বৈষম্যের ছোবলে নারীর শ্রমবাজার
টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউএস ও সিমাগো স্কপাসসহ বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র্যাাংকিংয়ে জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় রাংকিং সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেলের মাধ্যমে ইতোমধ্যে কয়েকটি র্যাংকিংয়ে নোবিপ্রবি অংশ নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব র্যাংকিং নয় বরং বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে সব সময়ই শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলো অগ্রাধিকারে রাখার চেষ্টা করি। কোনো শিক্ষার্থী যেন শিক্ষকের রোষানলে বা অনৈতিক সুবিধা না নিতে পারে, এজন্য আমরা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য একটি ডাবল ব্লাইন্ড কোডিং পদ্ধতি চালু করেছি। যেখানে শিক্ষার্থীদের রোলের পরিবর্তে র্যান্ডোমাইজড কোড থাকবে। এ ছাড়া একাডেমিক শৃঙ্খলা রক্ষায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অংশীজনদের যে কোনো যৌক্তিক অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আগে অন্যান্য অফিসের মতো নয়টা-পাঁচটা সেবা পাওয়া যেত মেডিক্যাল সেন্টারে। শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পাঠদান বাড়াতে কয়েকটি বিভাগে এখন স্মার্ট ক্লাসরুম, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এবং অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সব বিভাগে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি।
আবাসন সংকট নিরসনে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকটি আবাসিক হল নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করছি। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে ক্রীড়া কার্যক্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেলার মাঠ সংস্কারের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মাঠে মাটি ভরাটসহ আধুনিক ক্রিকেট পিচ নির্মাণ, বাস্কেট, ভলিবল এবং টেনিসবলের কোর্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজীকিকরণ ও এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রমের পরিধি বাড়াতে টিএসসি বা কেন্দ্রীয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজও চলমান রয়েছে। নোবিপ্রবি পরিবারের একটি প্রাণের দাবি ‘একাডেমিক ভবন-৩’-এর বাকি উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা। আমরা এ দাবি পূরণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। ওই ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করে একটি সমৃদ্ধ এবাডেমিক ভবন উপহার দেওয়া আমার অঙ্গীকার, আমাদের অগ্রাধিকার। আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর দ্রুতই আমরা একাডেমিক ভবন-৩-এর উন্নয়ন কাজ শুরু করতে পারব, এমনটাই প্রত্যাশা। একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বহিঃস্থ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবরেশনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি ও বিদেশি উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সমঝোতা স্মারকে আবদ্ধ হচ্ছি। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশি-বিদেশি ৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নানা ধরনের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটি নতুন আঙ্গিকে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রান্তিক অঞ্চলের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখানকার জনগোষ্ঠীর প্রতি নোবিপ্রবির অনেক বড় সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নোয়াখালী অঞ্চলের প্রবাসগামীদের পেশাগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নোয়াখালী শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি আন্তর্জতাকি ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের সন্তানদের পড়ালেখার লক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েটরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। গ্র্যাজুয়েটদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আজীবন যুক্ত রাখতে কেন্দ্রীয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন ও অ্যালামনাই অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এক সময় সামান্য কটি টাকার বিনিময়ে পাখিদের অভয়ারণ্য চাষের জন্য লিজ দেওয়া হতো। আমরা পরিযায়ী পাখিদের অভয়ারণ্য নিশ্চিত করেছি। প্রশাসন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সুশাসন ও জবাবদিহিতাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। বিশেষ করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষক নিয়োগে একাডেমিক ও রিসার্চ এক্সিলেন্স, লিখিত পরীক্ষা, প্রেজেন্টেশন ও ভাইভা পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করেছি। একইভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা ও ব্যবহারিক (কারিগরি পদে) পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছি।
আরও পড়ুন:
ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন মানবজাতি
একটি বছরের পথচলা আমাকে আরও দৃঢ় করেছে। দেখেছি- শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন, শিক্ষকদের একাগ্রতা ও নিবেদন, কর্মকর্তাদের নিষ্ঠা আর কর্মচারীদের পরিশ্রম মিলে কীভাবে একটি প্রতিষ্ঠান আলোকিত হয়ে ওঠে। আজ গর্বের সঙ্গে বলতে পারি- নোবিপ্রবি ধীরে ধীরে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার এক উজ্জ্বল কেন্দ্র হয়ে উঠছে। আমাদের পথচলা এখনও দীর্ঘ, চ্যালেঞ্জও কম নয়। তবু আশাবাদী- আগামী দিনে এই বিশ্ববিদ্যালয় কেবল নোয়াখালী নয়, পুরো বাংলাদেশেরও গর্ব হয়ে উঠবে। নোবিপ্রবি হবে এক আলোকবর্তিকা- যেখানে জ্ঞানের সঙ্গে থাকবে মানবিকতা, গবেষণার সঙ্গে থাকবে দায়িত্ববোধ আর স্বপ্নের সঙ্গে থাকবে বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল : উপাচার্য, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত লেখকের নিজস্ব
আরও পড়ুন:
রহস্যে ঘেরা এক অসম যুদ্ধ!