ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস আজ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস আজ

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুসের আয়োজন করেছে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। আজ শনিবার সকাল ৮টায় নগরীর ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে জুলুস বের হবে।

চুয়ান্নবারের মতো এ জুলুসের আয়োজন করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে জুলুস মিলিত হবে। সেখানে জোহরের নামাজের পর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে জুলুসের সমাপ্তি ঘটবে।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে ষোলশহর আলমগীর খানকায়ে কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, এবারের জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন আওলাদে রাসুল পীরে বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবের শাহ (মজিআ)। সঙ্গে থাকবেন সাহেবজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (মজিআ) ও সৈয়দ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ (মজিআ)। যেসব সড়ক দিয়ে মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রা যাবে, সেসব সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা সাবির শাহ (মাজিআ) সাংবাদিকদের বলেন, ১২ রবিউল আওয়াল পৃথিবীর বুকে আল্লাহর রহমত হিসেবে আবির্ভূত হন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি সমগ্র বিশ^বাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শের শিক্ষাদাতা হিসেবে এসেছেন। হজরতের সুন্দরতম আদর্শের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি-সোহার্দ, সাম্য-মানবতা প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামত হিসেবে এ ধরাতে আগমন করেন হজরত মোহাম্মদ (সা.)। নেয়ামত প্রাপ্তিতে খুশি উদযাপন করা আল্লাহ পাকের নির্দেশ। তাই নেয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ জশনে জুলুসের আয়োজন।

এদিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুস সফল করতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সহভাপতি ও পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মো. আমির হোসেন সোহেল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলুস নগরীর পাঁচলাইশ থানার জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার মাঠ থেকে বিবিরহাট হয়ে মুরাদপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে ডান দিকে মোড় নিয়ে ষোলশহর ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড় ঘুরে একই পথে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার জুলুস মাঠে মিলিত হবে। সেখানে আলোচনাসভা, জোহর নামাজ ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, বরাবরের মতোই এবারের জুলুস জনসমুদ্রে রূপ নেবে। বিশে^র বৃহত্তম মিলাদ শোভাযাত্রা হিসেবে আলোকিত এই জুলুসকে এখন চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক হিসেবেও গণ্য করা হয়। তাই এর শরিয়তসম্মত ঐতিহ্য রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। জুলুসে ড্রামসেট প্রবেশ, নারীদের অংশগ্রহণ এবং খাদ্যদ্রব্য নিক্ষেপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আঞ্জুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মনজুর আলম, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি ও জুলুসের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এসএম গিয়াস উদ্দিন, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ কমর উদ্দিন, প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন, আঞ্জুমান ট্রাস্টের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।