হত্যাচেষ্টা মামলায় পলক, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জাহাংগীর গ্রেপ্তার
জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর কাফরুলে আব্দুল আলিম হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অন্যদিকে জনগণের ভোট ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন করার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর এ আদেশ দিয়েছেন।
কাফরুল থানার এসআই মো. শাহ আলম আসামি পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আর পিবিআই'র পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান আসামি জাহাংগীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
আরও পড়ুন:
১১ বছরেও বিচারে অগ্রগতি নেই
শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল আলিম হত্যাচেষ্টা মামলায় বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই কাফরুলের আরমান মেইনারের গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল আলিম। তার চোখে গুলি লাগে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে গত ১ এপ্রিল তিনি মামলা দায়ের করেন।
জাহাংগীর আলমের মামলার বিবরণীতে বলা হয়, গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি।বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান এ মামলার বাদী, যিনি একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর মামলায় দণ্ডবিধির ১২৪ (ক)/ ৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ সংযুক্ত করা করা হয়।
২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ মামলার আসামি।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে মামলায়।