ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়েকে দেখতে এসে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
বগুড়া জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের বনশ্রী থানার সহযোগিতায় বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে।
আজ শনিবার ভোরে রাজধানীর বনশ্রীর একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মেয়েকে দেখতে যুবদল নেতা ঢাকায় এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী ফাহিমা ইমু।
বগুড়া পুলিশের ডিবির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোস্তাফিজ হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর থানায় ১৫টি মামলা হয়েছে। বিএনপির হরতাল ও অবরোধ চলাকালে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা আর হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো করে।
গ্রেপ্তার যুবদল নেতার স্ত্রী ফাহিমা ইমু জানান, ছোট মেয়ে নূরে আলম নাভিয়া ১৪ নভেম্বর থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। সে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকার বেসরকারি অ্যাডভান্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অবরোধে দলীয় কর্মসূচি পালন শেষে জাহাঙ্গীর মেয়েকে দেখতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আসেন। আজ ভোরে পুলিশের পোশাক পরে পাঁচজন ও সাদা পোশাকে কয়েকজন বাড়িতে এসে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। ওই সময় সাদা পোশাকে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের বগুড়া ডিবির সদস্য পরিচয় দেন।
ফাহিমা ইমু বলেন, ঢাকা থেকে জাহাঙ্গীরকে বগুড়ার ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাকে দুপুরের খাবারও দিয়ে এসেছে। জাহাঙ্গীর বগুড়াতে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ছিলেন।
অসুস্থ মেয়েকে দেখতে আসা ব্যক্তিকে এভাবে গ্রেপ্তার করা ঠিক কি না—এমন প্রশ্ন রেখে যুবদল নেতার স্ত্রী বলেন, জাহাঙ্গীর আলম কোনো নাশকতরা সঙ্গেই জড়িত নন। তাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।
বগুড়ার ডিবির পরিদর্শক মোস্তাফিজ হাসান বলেন, হরতাল-অবরোধে নাশকতা চালিয়ে জাহাঙ্গীর আত্মগোপনে চলে যেতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ঢাকা থেকে সবরকম নিয়ম মেনেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
