ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর মুক্তি দাবি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ নভেম্বর ২০২৩, ২২:৫৫
শেয়ার :
ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর মুক্তি দাবি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের
ছবি : সংগৃহীত

বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।

আজ শুক্রবার পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডেম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী এক বিবৃতি এই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতরা জানান, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু দেশের একজন গর্বিত সন্তান। তার মতো একজন পেশাদার চিকিৎসককে গ্রেপ্তার দেশের জন্য সুনাম ও কল্যাণ বয়ে আনবে না। তাকে আটকের পর র‍্যাবকে কেন চোর, ডাকাত, খুনী,সন্ত্রাসীদের মতো ফটোসেসন করে তা জনসম্মুখে প্রচার কর‍তে হবে? আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্র‍তি হটকারিতার পথ পরিহার ও সকল নাগরিকের জান,মালসহ সবধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।

বর্তমান সরকারের আমলে পেশাজীবীরা ন্যূনতম সম্মান ও নিরাপত্তা পাচ্ছেন না উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুই নয় ইতোমধ্যে অন্তত আরও ৩০জন পেশাজীবীকে বিনা কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক শামসুল হুদা লিটন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মইনুল হোসেন সাদিক ও প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ, গাইনোকলজিস্ট ডা. ফাতেমা সিদ্দিকী, ডা. আতিকুল ইসলাম, দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ হোসাইন, সুপ্রিম কোর্ট বারের এডভোকেট মনজুরুল আলম সুজন ,এডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ ,এডভোকেট মাহমুদুল হাসান মিলন, এডভোকেট জুয়েল মুন্সির সুমন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন খান, এডভোকেট মোহাম্মদ লিয়াকত আলী বাবু, তৌহিদুল ইসলাম, এডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, এডভোকেট আলী হায়দার বাবুল, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রনি, এডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, এডভোকেট আইয়ুব খান, এডভোকেট খসরুল ইসলাম, এডভোকেট আব্দুল বাসি মতিন, এডভোকেট মো. রুহুল আমিন, এডভোকেট মো, শহিদুল ইসলাম, এডভোকেট ফাতিমা ইয়াসমিন, কৃষিবিদ সানোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকসহ অনেকে।

এভাবে পেশাজীবীদের বিনা অভিযোগে এবং বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়ার মাধ্যমে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। পেশাজীবীরা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বিনাবিচারে মানুষ হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন ,নিপীড়ন ও দু:শানের কারণে দিন দিন এদেশ মনুষ্য বসবাসে অযোগ্য হয়ে পড়ছে। সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এভাবে পেশাজীবীদের হেনস্থা করা অব্যাহত থাকলে দেশের কৃতি ও মেধাবী সন্তানরা দেশে থাকতে চাইবে না। তাই পেশাজীবীবীসহ ভিন্নমতের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ, দেশে গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, বিচারালয়ের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়।