শিক্ষার্থীদের কাছে স্মৃতি হয়ে থাকবে বাংলা বিভাগ

আবু জাফর, কুবি
১৯ জুলাই ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
 শিক্ষার্থীদের কাছে স্মৃতি হয়ে থাকবে বাংলা বিভাগ

এক দিন, দুই দিন করে করে প্রায় অর্ধযুগ পেরিয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বাংলা বিভাগের ১৩তম আবর্তন। এসব শিক্ষার্থীর মাঝে সব সময় আলাদা ঋদ্ধতার সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই হাজার আঠারো থেকে দুই হাজার পঁচিশ কেটে গেছে। শিক্ষাজীবনের শেষ পর্যায়ে এসে মনের কোণে উঁকি দিচ্ছে নানা জল্পনাকল্পনা। এই বিভাগেই জমা হয়েছে কত স্মৃতি, হৃদ্যতার সম্পর্কগুলো, যা কখনো ভুলে যাওয়ার মতো নয়।

স্মৃতিচারণা করে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সোহেল রানা বলেন, ‘সময় বড় অদ্ভুত। কখনও থামে না, কারও জন্য অপেক্ষাও করে না। ২০১৯ সালে পথচলা শুরু হয়েছিল, সে পথ হেঁটে এখন বিদায়ের দোরগোড়ায়। এই তো সেদিন ভর্তি পরীক্ষার উত্তেজনা, ভর্তির প্রথম দিন, অচেনা মুখগুলো, নতুন বন্ধুত্ব, ক্লাসে অ্য্সাাইনমেন্ট হাতে নিয়ে দৌড়ঝাঁপ, সব যেন এখনও চোখের সামনে ভাসছে। অথচ দেখতে দেখতে কেটে গেল জীবনের শ্রেষ্ঠতম ছয়টি বছর। প্রতিটি সকাল শুরু হতো নতুন উদ্যমে। ক্লাসের মধ্যে শিক্ষকদের তিরস্কার, কোনো কোর্সের মিডটার্মের আগে তড়িঘড়ি প্রস্তুতি, প্রেজেন্টেশনের ভয়, প্রিয়জনকে আড়াল থেকে দেখার অপেক্ষা, ক্লাসরুম, করিডর, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, মুক্তমঞ্চ, শহীদ মিনার এবং খেলার মাঠÑ সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অসংখ্য স্মৃতি।’

বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নীল বাসে করে গন্তব্যে পৌঁছানো আর ক্যাফেটেরিয়ায় সকালের নাশতাÑ এই সবকিছু যেন একটুকরো স্মৃতি। তার মধ্যে কখনও কখনও ব্যর্থতা ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের উৎকণ্ঠায় হতাশা ও ক্লান্তি এসবের মধ্য নিজেকে আবার নতুনভাবে খুঁজে বের করার চেষ্টা তো আছেই। তবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় পাওয়া বাংলা বিভাগের একগুচ্ছ দীপ্তিময় শিক্ষক, যাদের প্রাণবন্ত ও শিক্ষণীয় ক্লাসগুলোয় আমি যেমন মুগ্ধ, তেমনি তাদের উপদেশ আমাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সংযমী করে তুলেছে।’ ত্ত