নতুন মামলায় মমতাজ-জাহাঙ্গীরসহ গ্রেপ্তার ৪
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের রাজধানীর পৃথক তিন থানার তিন মামলায় মানিকগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম এবং মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদসহ চারজনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্যরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম এবং নোয়াখালী সাবেক পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে ধানমন্ডি থানার কিশোর শামীম হত্যায় জাহাঙ্গীর আলম এবং শাহে আলম মুরাদ, কোতয়ালী থানার মুফতি শাওন হত্যা মামলায় মমতাজ বেগম, যাত্রাবাড়ী থানাধীন মঈনুল ইসলাম ওরফে মাইনুদ্দিন হত্যা মামলায় আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন:
১১ বছরেও বিচারে অগ্রগতি নেই
মমতাজের মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর কোতয়ালী থানাধীন তাঁতীবাজার মোড়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন শাওন মুফতি (২৩)। এদিন আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা মাকসুদা বেগম গত ২৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় মমতাজ ১৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
মুরাদ ও জাহাঙ্গীরের মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের হোটেল চিলিসের সামনে আন্দোলনে অংশ নেয় মো. শামীম (১৩)। ওইদিন বিকেলে আসামিরা গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করলে শামীম আগুনে দগ্ধ হন।পরে ৬ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত ৩ অক্টোবর ভিকটিমের মা জাহানারা বেগম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করে।
আসাদুজ্জামানের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনির আখড়া ব্রিজের উত্তর-পূর্ব পাশে আন্দোলনে অংশ নেন মঈনুল ইসলাম ওরফে মাঈনুদ্দিন। ওইদিন বেলা দুইটার দিকে আসামিদের গুলিতে আহত হন ভুক্তভোগী মঈনুল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা কামরুল ইসলাম গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।