ড. ইউনুস ও জেনারেল ওয়াকারের মাঝে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব এবং এর কুফল
শুভ সূচনা:
৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরবর্তী বাংলাদেশে ছাত্র জনতা সিপাহির অবদানে নতুন বাংলাদেশে আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম নতুন এক দিগন্তের। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবিতর্কিত, শ্রদ্ধেয় ও বর্তমান প্রেক্ষিতে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব আমাদের গর্ব, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস স্যার যখন দেশের হাল ধরেন, তখন জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়। এই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়াতে আজ আমরা বাক্-স্বাধীনতা ফেরত পেয়েছি।
ষড়যন্ত্র:
কিন্তু এরপর বাংলাদেশ টার্গেটে পরিণত হয় গুজব ও ষড়যন্ত্রের, যা নিয়ে আজ জনগণের মধ্যে উদ্যোগ উৎকণ্ঠা বিরাজমান। দেশকে অস্থির করতে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো যেন যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। মাইনোরিটি কার্ডসহ নানা ইস্যু নিয়ে এমন কোন দিন নাই যে তারা বাংলাদেশকে অস্থির করতে কাজ করছে না।
ভারতীয় প্রোপাগান্ডা:
এই অল্প ক’দিনে ভারতীয় গণমাধ্যম ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান ঘটানোর প্রবল উসকানি দিয়েছে, কিন্তু জেনারেল ওয়াকার ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে বেশ ক’বার স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ক্ষমতার প্রতি তার কোনো আগ্রহ নেই। এজন্য ভারতীয় এই উসকানি সফল হয়নি। তবে ষড়যন্ত্র থেমে নেই।
ভারতে মিডিয়ার এই প্রোপাগান্ডা আসলে বাংলাদেশের প্রতি দিল্লি তথা মোদি সরকারের নীতির অংশ। এটাকে কোনোভাবেই হালকা করে দেখার অবকাশ নেই। আমাদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি ও প্রোপাগান্ডার বিপরীতে বাংলাদেশের জনগণের ভেবে দেখা উচিত, দিল্লি সরকার এখানে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তাদের পছন্দের কাউকে বসিয়ে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করতে চায়।
এই উসকানি ও প্রোপাগান্ডায় দিল্লি ব্যর্থ কারণ জেনারেল ওয়াকার উচ্চাবিলাসী নন। এজন্যই হয়তো তার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে এত ষড়যন্ত্র চলছে। এমতাবস্থায় জেনারেল ওয়াকারের বিরুদ্ধে কামান দাগানো কি জাতির জন্য মঙ্গল কর তা ভাবার বিষয়।
সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউব বিভ্রান্তি:
আমরা বাংলাদেশে দেখছি সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে বেশ ক’জন ‘পীর সাহেব’দের সরব উপস্থিতি। গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে আমরা সবাই একত্রিতভাবে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সহযোদ্ধা হলেও, আজ কেন আমরা বিভাজিত? এই বিভাজনটি আল্টিমেটলি ভারতীয় ন্যারেটিভ সফল করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে না তা ভেবে দেখতে হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের পরিকল্পিত প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে সেনাপ্রধানকে ব্যক্তিগতভাবে হেয় করা এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব আরও বৃহৎ ও সাংঘর্ষিক করার রাজনীতি কি বাংলাদেশকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলছে না?
বাংলাদেশ প্রশ্নে দিল্লির রাজনীতি কি আমরা এত গুজব ও প্রোপাগান্ডার পরও বুঝতে পারছি না?
সেনাবাহিনী প্রধান কেন দীর্ঘদিন তার সেনাবাহিনীকে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে রাখতে অনিচ্ছুক:
১। ওয়ান ইলেভেনসহ আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা আলোকে সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন বাইরে থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে হুমকি তৈরি হতে পারে। ষড়যন্ত্রকারীরা সেনা সদস্য ও জনগণের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির ক্ষেত্রে তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন:
বৈষম্যের ছোবলে নারীর শ্রমবাজার
২। আমাদের পঁচে যাওয়া সমাজ যেখানে রন্ধে রন্ধে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, সেখানে সেনাবাহিনীকে দুর্নীতিতে জড়িত রাখার রিস্ক নেওয়ার বিলাসিতা।
৩। সেনাবাহিনী দিয়ে দীর্ঘদিন পুলিশিং করা কি ঠিক হবে? পুলিশ সংস্কারের অভাবে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার সেনাবাহিনীকে জনগণের প্রতিপক্ষ বানানো কি ঠিক হবে?
৪। সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রশিক্ষিত। আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষিত নয়। এটা তাদের ম্যান্ডেটভূক্ত কাজে পরে না। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে ইন এইড টু সিভিল এডমিনিস্ট্রেশনের দায়িত্ব হিসেবে সেনাবাহিনী এই কাজ করছে।
৫। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনী গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে নির্বাচন হবার পর তিনি সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত নিতে আগ্রহী। দীর্ঘদিন সেনাবাহিনী ব্যারাক হতে বাইরে থাকার কারণে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের যে ঘাটতি হয়েছে, সেনাবাহিনী তা মিটিয়ে দিতে চায়।
আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে থাকুক এটা জনগণ হিসেবে আমরাও চাই না।
পুলিশ সংস্কার না হওয়ার কুফল:
ড. ইউনুস স্যার কেন এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার্থে পুলিশকে কার্যকর তুলতে সক্ষম হননি?
দেশের আভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুলিশের, সেনাবাহিনীর নয়। পুলিশ সংস্কার করে কেন নুতন পুলিশ এখনো পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়নি?
সেনাবাহিনীর সাথে সরকারের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের প্রধান কারণ এটা।
চট্টগ্রাম বন্দর ও মানবিক করিডোর নিয়ে দ্বন্দ্ব:
যেহেতু বন্দর ও মানবিক করিডোর জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামরিক স্বার্থের সাথে জড়িত, তাই এই বিষয়ে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর পরামর্শ নেওয়াটা যুক্তিযুক্ত বলে আমরা মনে করি। এখানে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে পাশ কাটিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকলে মারাত্মক ভুল হয়ে থাকবে।
কিন্তু আমরা কি দেখলাম? বন্দর ও করিডোর নিয়ে সরকার ও সেনাবাহিনীর মাঝে দূরত্ব তৈরি করে রাখা হয়েছে। কে বা কারা এই তৃতীয় পক্ষ? যারা বিভাজন সৃষ্টিকারী তাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন?
আমাদের বন্দর কি কেবল মাল খালাস করবার একটি জেটি? এই বন্দরের কি কেবল অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে? নিরাপত্তা ও সামরিক গুরুত্ব নেই? এই বিষয় নিয়ে ছেলেখেলার বিলাসিতা কি রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব?
আরও পড়ুন:
ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন মানবজাতি
রাষ্ট্রের এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমলে না নিয়ে ভারতীয় প্রোপাগান্ডা ও ন্যারেটিভ বাস্তবায়ন করা কতটা যৌক্তিক? এতে কি রাষ্ট্রের উপকার হবে?
জাতির অভিভাবক ড. ইউনুসের কাছে প্রত্যাশা:
ড. ইউনুস স্যার আমাদের জাতির অভিভাবক। সঙ্গত কারণেই আমরা তার কাছে প্রত্যাশা করব তার এবং জেনারেল ওয়াকারের মাঝে যদি কোনো দূরত্ব হয়ে থাকে, তবে তা তিনি নিজ উদ্যোগেই, তার প্রধান সেনাপতিকে ডেকে সমাধান করবেন। আমরা যারা আন্তরিকভাবে এই দূরত্ব নিরসন মনে প্রানে কামনা করছি তারা দেখছি, তৃতীয় এক অদৃশ্য অপশক্তি এই দূরত্ব নিরসনে বাধা প্রদান করছে। কে বা কারা এই অপশক্তি?
সেনাবাহিনী প্রধানের দরবার নিয়ে গুজব, ষড়যন্ত্র ও ধোঁয়াশা:
ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পরিষ্কার বিবৃতি দিয়েছেন সেনা সদরের একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। সেনাবাহিনী প্রধানের দরবার একটি অভ্যন্তরীণ রুটিন বিষয়। দীর্ঘদিন সেনা সদস্যরা ক্যান্টনমেন্টের বাইরে থাকা এবং সামনে ঈদ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায সেনা সদস্যদের মনোবল উজ্জীবিত করার জন্য এটা সেনাপ্রধানের কর্তব্য। সেখানে দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান একজন জুনিয়র অফিসারের প্রশ্নের জবাবে বন্দর ও করিডর নিয়ে তার মতামত দেওয়াকে অপরাধ বা এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ হিসেবে চাউর যারা করছেন, তারা কি জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন না?
আমার ঘরে আমার স্ত্রীর সাথে যদি ঝগড়া হয় সেটা কি আমি জনসমক্ষে প্রচার করব? তদ্রুপ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আইএসপিআর কি পাবলিকলি স্টেটমেন্ট দিতে বাধ্য?
সেনাবাহিনী কি সরকারের প্রতি ডিজলয়াল বা আনুগত্য প্রদর্শন করেনি? জেনারেল ওয়াকার ও তার বাহিনী বরাবরই সরকারের প্রতি তাদের লয়ালিটি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় কেন, কার স্বার্থে, কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আলোকে ড. ইউনুস স্যার ও জেনারেল ওয়াকারের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করা হলো?
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ তা কি জাতি অস্বীকার করতে পারবে? অথচ আমরা দেখছি একটি গোষ্ঠী তাদের কে ভিলেন বানাতে মরিয়া হয়ে উঠেপড়ে লেগেছে। এর কুফল নিয়ে কি কেউ ভেবে দেখেছেন?
একটি ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করে উপরে উল্লেখিত ভয়াবহ পরিণতি বোঝাতে চাই। দেশের বর্তমান যে অবস্থা তাতে এই মুহূর্তে ড. ইউনুস এর বিকল্প কেউ কি আছেন? দৈনিক যুগান্তরের এক জরিপে যেখানে ২ লাখ ৩০ হাজার জনগণ অংশগ্রহণ করেছে, তাতে ৮৩ শতাংশ জনগণ মনে করে এই মুহূর্তে ড. ইউনুস স্যারের বিকল্প কেউ নেই।
তদ্রুপ এই মুহূর্তে ৫ অগাস্ট পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনার আলোকে জেনারেল ওয়াকার যেভাবে সকল প্রোপাগান্ডা, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে মাথা ঠান্ডা রেখে সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এতে এই মুহূর্তে তার কোনো বিকল্প আমি খুঁজে পাই নাই।
আমি শুধু একটা উদাহরণ জাতিকে দিতে চাই। ৩ অগাস্ট ২০২৪ যেদিন জেনারেল ওয়াকারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ফ্যাসিষ্ট সরকারের আদেশ না মেনে জনগণের উপরগুলো চালাতে অস্বীকার করে জনগণের পাশে দাঁড়ায়। এদিন জেনারেল ওয়াকার ছাড়া যদি আগের সেনাবাহিনী প্রধান থাকতেন তবে, ঢাকার রাস্তায় একলাখ লাশ ঝরলেও আমি অবাক হতাম না।
নির্বাচন ও সেনাপ্রধানের নির্বাচন চাওয়া নিয়ে বিতর্ক:
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যাদের মাঝে বিরাজমান লুটেরা মাফিয়া শ্রেণির প্রতিনিধি ভর্তি, তারা কি কারণে নির্বাচন চাচ্ছেন তা জনগণ কমবেশি বুঝতে পারে। কিন্তু সেনাপ্রধান কি কারণে নির্বাচন চাচ্ছেন সেই জিনিসটি আমরা বুঝতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছি। আর তৃতীয় পক্ষ এটা নিয়ে জনগণের মাঝে সন্দেহ আশঙ্কা এবং ধোঁয়াশা তৈরি করছে। সেনাপ্রধান তার সৈনিকদের বেশি দিন বাইরের মাঠে রাখার কুফল কি তা নিয়ে আমরা বিস্তর আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন:
রহস্যে ঘেরা এক অসম যুদ্ধ!
সেনাপ্রধান তার সৈনিকের নৈতিকতা, চরিত্র ও দুর্নীতি নিয়ে যদি শংকা প্রকাশ করে থাকেন, তবে কি খুব ভুল করেছেন?
নির্বাচন আমরা সবাই চাই, কিন্তু কিন্তু নির্বাচনের আগে জনগণের অভিপ্রায় তথা নতুন গঠনতত্ত্ব প্রণয়ন আবশ্যক। তা না হলে আমরা আরেকটি ফ্যাসিজমের পথ খোলা রাখার রিস্ক নিতে কি প্রস্তুত?
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্রুত নির্বাচনের চাহিদা আর লুটেরাদের দ্রুত নির্বাচনের চাহিদা কি এক? জেনারেল ওয়াকার স্পষ্ট করে তার বাহিনীর ইনটেগ্রিটি ও সংহতি রক্ষার্থে নির্বাচন কামনা করে কি মহা অপরাধ করেছেন?
সৈনিকদের নৈতিকতার শক্তিশালী ও অক্ষুণ্ন রাখা কি তার দোষ? বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের তথা জনগণের সম্পদ। এটা কোন দল বা গোষ্ঠী বা ব্যক্তির সম্পদ নয়।
জনগণের অভিপ্রায়:
সেনাবাহিনী ও জনগণের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির ষড়যন্ত্র আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের সকল জনগণ উপলব্ধি করতে পেরেছে। এই বিভ্রান্তি নিরষনে ফুলস্টপ দিতে চাই আমরা। এর জন্য আমাদের সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আবেগ গুজব বিভ্রান্তিতে পথভ্রষ্ট হলে রাষ্ট্রের যে ক্ষতি হবে, তাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দুই হাজার লাশের প্রতি কি বেইমানি করা হবে না?
আশা করি আমরা সেই ভুল করব না। বাংলাদেশে ৫ ই আগস্ট পরবর্তী নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা যদি এক থাকি তাহলে সব ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবিলা করতে পারব। যেভাবে আমরা ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে এক ছিলাম, আমার বিশ্বাস আমরা এখনো সেরকম একতা প্রদর্শন করতে পারব। সরকার ও সেনাবাহিনীর কোন দূরত্ব রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলকর নয়। জাতীয় স্বার্থে রাষ্ট্রের অভিভাবক ডক্টর ইউনুস স্যার কে অনুরোধ এই দূরত্ব নিরসন করুন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সমগ্র জনগণ আপনার পেছনে আছে।
লেখক: কলামিস্ট, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক