পুলিশের দাবি গ্রেপ্তার আজাদ কৃষক লীগ নেতা, আইনজীবীর দাবি জামায়াত কর্মী
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার সোহানুর রহমান আজাদ নামে এক ব্যক্তিকে জুলাই আন্দোলনের রাজধানীর ধানমন্ডি থানার মো. রিয়াজ (২৩) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে পুলিশ মামলাটিতে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার এ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
পুলিশ ফরোয়াডিংয়ে তাকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের চর এককরিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে উল্লেখ করেছে।তবে শুনানিতে আসামির আইনজীবী তাকে জামায়াতের কর্মী দাবি করেছেন।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ মামলায় রিমান্ড শুনানি গ্রহন করেন। শুনানিতে আইনজীবী জহিরুল ইসলাম আসামি আজাদকে জামায়াত কর্মী দাবি করেন।
আরও পড়ুন:
১১ বছরেও বিচারে অগ্রগতি নেই
এ মামলায় শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং নুরু মিয়া এবং আজাদের গ্রেপ্তার দেখানোরসহ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।আইনজীবী জহিরুল ইসলাম শুনানিতে বলেন, ‘গত ১৩ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জামায়াতের কর্মী, ইউনিট সেক্রেটারি। তার সৎ ভাই আছেন শ্রমিক লীগে। তাকে শ্রমিক লীগ নেতা দেখিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার রিমান্ড বাতিল করে জামিন প্রার্থনা করছি।’
আদালত রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য জানতে চান। তখন ওমর ফারুক বলেন, ‘তাকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের চর এককরিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেখানো হয়েছে।’
তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, বাদী সুস্পষ্টভাবে এজাহারে মেনশন করেছেন তিনি কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক। সেখান থানায় যোগাযোগ করেছি প্রতিবেদনের জন্য। আর তিনি সাবেক এমপির কাছের লোক। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত।’
তখন আজাদের আইনজীবী আদালত বলেন, ‘তাহলে প্রতিবেদন পাওয়ার পর শুনানি হোক। আর তাকে গ্রেপ্তার করার পর জামায়াতের পক্ষ থেকে থানায়ও যাওয়া হয়। যারা আন্দোলন করেছে তারা যদি ভিকটিমাইজড হয়, তাহলে আন্দোলন করলাম কার পক্ষে।’তখন আদালত সোহানুর রহমান আজাদের রিমান্ডের বিষয়ে আদালত পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির সাইন্সল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৭ আগস্ট বিকেলে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।