দয়া নয়, শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার চান

শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস
০১ মে ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
দয়া নয়, শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার চান

আজ পহেলা মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস। এই দিবস ঘিরে শ্রমিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে সোচ্চার হয়ে ওঠে। সরকার-মালিক উভয় পক্ষই আশ্বাসের বাণী শোনায়। কিন্তু বঞ্চিত শ্রমিকরা বঞ্চিতই থেকে যান। শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায় না হওয়ায় বারো মাস তাদের সোচ্চার থাকতে হয়। শ্রমিকরা কারও দয়া চান না, চান ন্যায্য অধিকার।

বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে শ্রমজীবী মানুষের শ্রম ও ঘামের ওপর। কৃষি উৎপাদন, প্রবাসী রেমিট্যান্স, গার্মেন্টস, ওষুধ, কুটির শিল্পসহ নানা খাতের শ্রমিকরাই সচল রেখেছেন বাংলাদেশের অর্থনীতি। ন্যায্যতার ভিত্তিতে এই শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। শ্রমিক বাঁচলেই কেবল দেশের অর্থনীতি বাঁচবে।

টেকসই অর্থনীতি ও শ্রমিকদের বাঁচাতে শ্রমিক শ্রেণির ট্রেড ইউনিয়ন ও যৌথ দরকষাকষি করার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সব পক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে। বাজারমূল্য ও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে সব সেক্টরে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের জন্য প্রতি দুই বছর অন্তর রিভিউ ব্যবস্থা চালু করা, যৌক্তিক শ্রমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যক্তিখাতের দায়িত্ব স¤পর্কে আইন ও বিধি-বিধান প্রণয়নের উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। এই আইন ও বিধি হতে হবে জাতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একই ধরনের ব্যবস্থা থাকতে হবে রাষ্ট্রীয় খাতের জন্যও। ভয়াবহ সব শিল্প-কারখানার দুর্ঘটনায় বহু শ্রমিক হতাহত হন। এ ধরনের ট্র্যাজিক দুর্ঘটনা থেকে শিল্প খাতকে মুক্ত করতে হবে। এই লক্ষ্যে বিদ্যমান শিল্প-কারখানাগুলোর ওপর প্রত্যক্ষ জরিপ চালিয়ে শিল্প-কারখানাগুলোতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড, বয়লার বিস্ফোরণ, কারখানা ভবন ধসসহ দুর্ঘটনার উৎসগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এ সবই সরকারি উদ্যোগে হতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরে শিল্প-কারখানাগুলোকে দুর্ঘটনামুক্ত করতে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শিল্প-কারখানা যাতে দুর্ঘটনাকবলিত না হয় সে লক্ষ্যে কারখানার অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগসহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোর কারিগরি মান নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত, বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ আবাসন ও যাতায়াতব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

বিশ্বের মেধাজগৎ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিসহ অন্যান্য বিদেশি ভাষা (কোরিয়ান, চীনা, জাপানি, জার্মান, আরবি, ফ্রেঞ্চ, ¯প্যানিশ ইত্যাদি) শেখার জন্য অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। ভাষার চাহিদাভিত্তিক দক্ষতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য সরকারি উদ্যোগে আরও বিদেশি ভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে হবে এবং বেসরকারি খাতে ভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে উৎসাহ ও প্রণোদনা দিয়ে নিবিড় রেগুলেটরি ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে।

তুলনামূলক স্বল্পশিক্ষিত মেহনতি মানুষই বাংলাদেশের আর্থিক খাতের প্রাণশক্তি। আর মধ্য ও উচ্চশিক্ষিত বিরাট এক জেনারেশন এ দেশে বেকার। কিন্তু দুর্ভাগ্য, যাদের পরিশ্রমে, রক্ত আর ঘামে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে, তারা আজ অধিকার থেকে বঞ্চিত। ন্যায্য প্রাপ্যটা পাওয়ার জন্য রাজপথে তাদের লড়াই করতে হচ্ছে। ব্রিটিশ ভারত, পাকিস্তান-পরবর্তী বাংলাদেশে এখনও শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস অনেক উজ্জ্বল। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান এবং একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শ্রমিক আন্দোলন বড় ভূমিকা রেখেছে। ঐতিহাসিকভাবে শ্রমিকশ্রেণি শুধু নিজের জন্য নয়, সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে থাকে।

ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানেও শ্রমিক-কর্মচারীরা জোটবদ্ধ হয়ে (স্কপ) ছাত্র-জনতার সঙ্গে মিলে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে লড়াই করে রক্ত ঝরিয়েছেন। স্বৈরাচারের পতন, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীরা বারবার রক্ত ঝরিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে কলকারখানা ও অফিস ছেড়ে শ্রমিকরা রাজপথে নেমে আসেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রাজপথে আত্মদানকারীদের ৭০ শতাংশ শ্রমজীবী মানুষ। অধিকারের প্রশ্নে ঐতিহাসিকভাবে শ্রমিকশ্রেণি যুগে যুগে আপসহীন।

বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের মধ্য প্রায় ১২ কোটি ভোটার এবং বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ৭ কোটি ৩৫ লাখ। ৭ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্য নিবন্ধিত শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ৭০ লাখ এবং অনিবন্ধিত ৬ কোটি ৬৫ লাখ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও শ্রম সংস্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বাংলাদেশে শ্রমিক শোষণ ও নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক। শ্রম আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠন করার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও বিগত সরকারের পুলিশ ও লীগদলীয় ক্যাডারদের সহায়তায় লীগ সরকার ভিন্নমতসহ বিএনপি সমর্থক ট্রেড ইউনিয়নের অফিসগুলোর বেশির ভাগই দখল করে নেয়। বিগত সরকারের সময় শ্রমিক লীগ বিএনপিসহ বিরোধী দল সমর্থক শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম পেশিশক্তি ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বন্ধ করে দিয়েছিল।

আওয়ামী লীগ ১/১১-এর চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হাতে পেয়ে বিরোধীপক্ষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রমে অংশ নিতে বাধা দেয়। ফলে সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠান একতরফাভাবে শ্রমিক লীগ সমর্থিত সিবিএর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল সমর্থক শ্রমিক-কর্মচারীদের বরাদ্দকৃত বাসা বাতিল করে তাদের বাস্তুচ্যুত করে। বিরোধীদলীয় সমর্থক শ্রমিক-কর্মচারীদের ঘন ঘন হয়রানিমূলক বদলির ফলে শ্রমিক নেতাদের সন্তানদের লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত হয়।

হয়রানিমূলক বদলিই শুধু নয়, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অনেককে চাকরিচ্যুত, বেতন-ইনক্রিমেন্ট বন্ধ, এমনকি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে অনেককে সর্বস্বান্ত করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে নিয়মতান্ত্রিক ও স্বাভাবিক শ্রমিক আন্দোলন হুমকির মুখে পড়ে। জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দেওয়ার এ এক বড় আওয়ামী চক্রান্ত, যা খালি চোখে ধরা পড়ছে খুব কম। এই চরম বৈরী অবস্থার মধ্যেও ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৪০ বছর পর ২১টি শ্রমিক সংগঠন ‘শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশনে’ মিলিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ঘোষণা করে।

দেশের অর্থনীতির ঘোর এই দুঃসময়ে দরদি রাজনীতির পাশাপাশি ছাত্রদের সঙ্গে শ্রমিক, কৃষক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই পারে বাংলাদেশকে মুক্তির পথ দেখাতে। দেশে কৃষক ও শ্রমিক আন্দোলন না থাকার সুযোগে বিগত লীগ সরকার অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিলের মাধ্যমে শ্রমিক আন্দোলনের হাতে-পায়ে বেড়ি পরায়। লীগ সরকার বৃহত্তর গণ-আন্দোলন গড়ে উঠতে নানা কৌশলে বাধা দিয়ে রেখেছিল। দেশ ও জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ২১টি শ্রমিক সংগঠন এক শ্রমিক কনভেনশনে মিলিত হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের শ্রমিক অন্দোলনের নতুন স্বপ্ন দেখায়। শ্রমিক-কর্মচারীদের অধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শ্রমিক আন্দোলন অনেক বেশি প্রয়োজন হয়ে ওঠে। এই বাস্তবতার নিরিখে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শ্রমিকরা জেগে উঠেছিলেন। নতুন দিনের সূচনা করতে শ্রমিক আন্দোলন অতীতের মতো ভবিষ্যতেও নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। শ্রমিকদের মুক্তির জন্য শ্রমিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

ইতিহাসে শ্রমিকশ্রেণি বারবার সভ্যতার গতিপথ পাল্টে দিয়েছে। আধুনিক সমাজে আজও শ্রমিকের সেবা ছাড়া একটি মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। শ্রমিকদের রক্ত আর ঘামের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এ সভ্যতা। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত রেখে তাদের ওপর জুলুম করা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এ জুলুমের অবসান করে একটি কল্যাণকামী ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য দরকার কার্যকর শ্রমিক আন্দোলন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের দাগ এখনে শুকায়নি। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার মিলিত লড়াইয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের দায় রয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে আত্মদানকারী ভাগ্যহত শ্রমিকদের ন্যায়সংগত নায্য দাবি দ্রুত পূরণ করার।

আইএলও কনভেনশনে অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে সরকারকে শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য জাতীয় মজুরি কমিশন ও ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করতে হবে।

১। আইএলও কনভেনশন ১৩৮ এ ধারা অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরি ও ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ থাকলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

২। আইএলও কনভেনশন ১৫৫ ও ১৮৭ অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ঝুঁকি মোকাবিলার ব্যবস্থা এখনও হয়নি।

৩। আইএলও কনভেনশন ১৯০-এর ঘোষণা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে ‘Gender based violence protection at work in the World’ বাস্তবায়িত হয়নি। যার ফলে অনেক জায়গায় নারী শ্রমিকরা যৌন হয়রানিসহ নানা রকমের প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে এটি সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। এ ছাড়াও-

১। ক) নারী শ্রমিকের শিশুদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার করতে হবে।

খ) নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা দিতে হবে।

গ) বন্ধ শিল্প চালু করতে হবে, নতুন শিল্প গড়তে হবে, বেকার সমস্যার সমাধান করতে হবে।

খ) আউটসোর্সিং বাতিল করে স্থায়ী পদ সৃষ্টি করতে হবে।

ঙ) জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে।

চ) বৈষম্যহীন জাতীয় বেতন স্কেল ও মজুরি কমিশন ঘোষণা করতে হবে।

ছ) জরুরি পরিষেবা আইন বাতিল করতে হবে।

জ) খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে।

ঝ) ২০১৮ সালের বিতর্কিত পরিবহন আইন বাতিল করতে হবে।

ঞ) নিহত ও আহত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

ত) সব শ্রমিকের ডাটাবেজ তৈরি করে তাদের জন্য ন্যায্যমূল্যের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

সভ্যতার বিনির্মাণকারী শ্রমিক শ্রেণির অধিকার সুরক্ষা না করে কোনো রাষ্ট্রই তার কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি।

ইতিহাসের সেই অমোঘ সত্যের পথে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের নিশ্চয়তাসহ সব নাগরিকের জানমাল ও ন্যায়সংগত আইনের অধিকার সুরক্ষা করতে হবে। আসুন অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অংশ নিয়ে মা, মাটি আর মাতৃভূমিকে মুক্ত করি। দুনিয়ার মজদুর এক হও। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস : প্রধান সমন্বয়কারী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এবং সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি