আর্থিক সাক্ষরতা ব্যক্তি ও জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি
আর্থিক সাক্ষরতা (Financial Literacy) বলতে বোঝানো হয় সেই ক্ষমতা বা জ্ঞান যা মানুষকে ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তির অর্থ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, যেমন- ব্যক্তিগত আর্থিক বাজেট তৈরি, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং ভবিষ্যতের জন্য অর্থ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতার সমষ্টিকে বোঝায়।
এটি অর্থ ব্যবস্থাপনার সঠিক পদ্ধতি শেখানোর মাধ্যমে ব্যক্তির আর্থিক নিরাপত্তা, প্রতারণার ঝুঁকি হ্রাস এবং আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। বৈচিত্র্যপূর্ণ আর্থিক পণ্য এবং পরিসেবার আধুনিক সময়ে আর্থিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিরাই আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে, বিপদ এড়াতে এবং নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম হন।
মানুষের জন্য আর্থিক সাক্ষরতার গুরুত্ব
আর্থিক সাক্ষরতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ এটি ব্যক্তিপর্যায়ে মানুষের আর্থিক ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য কৌশল সরবরাহ করে। বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে অনেক মানুষ এখনও অনানুষ্ঠানিক অর্থ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে, সেখানে সুচিন্তিত আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একজনকে অবশ্যই প্রভাবিত করে এবং জীবনযাত্রার মান উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করতে পারে। বিষয়টির গুরুত্ব বোঝার জন্য নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো আমাদের সহায়তা করবে :
সঠিক আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ
আর্থিকভাবে শিক্ষিত ব্যক্তি জরুরি অবস্থার জন্য সঞ্চয় করে, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করে সঠিক আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হন।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা
একজন আর্থিকভাবে শিক্ষিত ব্যক্তি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে পারেন। যারা তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ভালোভাবে করতে পারেন তাদের আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, যার ফলে সামাজিক পরিষেবার ওপর নির্ভরতা কমে যায় এবং সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী হয়।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন
সঠিক আর্থিক জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ তাদের আর্থিক সম্পদ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে এবং ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারেন।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি
আর্থিক সাক্ষরতা মানুষকে আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করে, যা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন:
বৈষম্যের ছোবলে নারীর শ্রমবাজার
বাংলাদেশে আর্থিক সাক্ষরতার অবস্থা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও দেশের জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশ এখনও আর্থিক সাক্ষরতার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর Report on Bangladesh Sample Vital Statistics 2022 অনুসারে, সাক্ষরতার হার ছিল ৭৬.৮ শতাংশ। Financial Inclusion Insights (2018) Program by Inter Media Research অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের আর্থিক সাক্ষরতার হার প্রায় ২৮ শতাংশ, অর্থাৎ ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষেরই এই মৌলিক ধারণার অভাব রয়েছে। বাংলাদেশের মাত্র অল্পসংখ্যক মানুষ মূল আর্থিক ধারণাগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। বর্তমানে বহুসংখ্যক মানুষ বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় আনুষ্ঠানিক আর্থিক শিক্ষার অভাবে দুর্বল আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকিতে পড়েন। উল্লেখ্য যে, গ্রামীণ এলাকায় নারীদের আর্থিক সাক্ষরতার হার পুরুষদের তুলনায় বেশ নগণ্য।
বর্তমানে, সরকারি এবং বেসরকারি খাত আর্থিক সাক্ষরতার গুরুত্ব অনুধাবন করতে শুরু করেছে। আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা শুরু হয়েছে, কিন্তু অগ্রগতি এখনও উল্লেখযোগ্য নয়। এই সমস্যা মোকাবিলা এবং আর্থিকভাবে শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলার জন্য আরও সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
ব্যক্তিগত আর্থিক আচরণের জন্য আদর্শ মডেল
ব্যক্তিগত আর্থিক আচরণ কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য, আমরা ৫০-৩০-২০ মডেল অনুসরণ করতে পারি। ৫০-৩০-২০ মডেল হলো ব্যক্তিগত আর্থিক বাজেট এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার পরিচালনা একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায়। এটি আমাদের মাসিক আয়কে তিনটি বিভাগে ভাগ করে :
মৌলিক চাহিদার জন্য ৫০%:
আমাদের মাসিক আয়ের অর্ধেক খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এবং অন্যান্য নিত্যনৈমিত্তিক মৌলিক চাহিদার জন্য ব্যয় করা উচিত। এগুলো প্রয়োজনীয় ব্যয় যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মান বজায় রাখার জন্য আবশ্যক।
ঐচ্ছিক চাহিদার জন্য ৩০%
আমাদের আয়ের ত্রিশ শতাংশ ঐচ্ছিক ব্যয় বা চাহিদা পূরণের জন্য বরাদ্দ করা যেতে পারে। যেমন- বিনোদন, শখ বা ইচ্ছা পূরণ, ভ্রমণ অথবা আমাদের জীবনযাত্রার মানের উন্নতির জন্য।
চ্যারিটির জন্য মোট আয়ের ১% এবং ঐচ্ছিক চাহিদার জন্য ২৯% ব্যবহার করা যেতে পারে। চ্যারিটির এই ছোট কাজটি অন্যদের জীবনে একটি অর্থপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি একটি শক্তিশালী ও সহানুভূতিশীল সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের জন্য ২০%
আরও পড়ুন:
ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন মানবজাতি
ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের জন্য আয়ের ২০% সঞ্চয় করা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে জরুরি তহবিল তৈরি এবং অবসরকালীন সঞ্চয়ে অবদান রাখা। এই নিয়ম অনুসরণ করে, মানুষ তাদের আর্থিক ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে পারে, নিশ্চিত করতে পারে যে তারা প্রয়োজনীয় ব্যয় বহন করেও ভবিষ্যতের জন্য কিছু অর্থ আলাদা করে রাখতে পারছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, মধ্যবয়সী মানুষের জন্য ২০% একটি আদর্শ মানদণ্ড হলেও যারা প্রাথমিক কর্মজীবনে এ সঞ্চয় শুরু করবেন তাদের ক্ষেত্রে সঞ্চয়ের হার ১০% থেকে শুরু করা যেতে পারে। এতে সহজেই সঞ্চয়ের মানসিকতা গড়ে উঠবে।
বাংলাদেশে আর্থিক সাক্ষরতা উন্নয়নে গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ
বাংলাদেশে আর্থিক সাক্ষরতার উন্নয়নের জন্য একটি বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন যার মধ্যে সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ আবশ্যক। দেশে আর্থিক সাক্ষরতা উন্নয়নে ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে :
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সাক্ষরতা কার্যক্রম
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে আর্থিক সাক্ষরতা প্রসারের প্রয়াস চালাচ্ছে। আর্থিক সাক্ষরতার গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০২২ সালে Financial Literacy Guidelines For Banks and Financial Institutions জারি করে। এই গাইডলাইনটি ব্যক্তির সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং ব্যাংকিং পরিষেবার ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষিত করার পাশাপাশি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ ‘স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম’, যার লক্ষ্য তরুণ শিক্ষার্থীদের অর্থ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে শেখানো। এ ছাড়া আর্থিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন এবং আর্থিক সাক্ষরতা সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে ।
ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক সাক্ষরতার কার্যক্রম
বাংলাদেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের আর্থিক সাক্ষরতা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সাক্ষরতা গাইডলাইনের আলোকে এই প্রোগ্রামগুলো সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং ইত্যাদি বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। কিছু ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং নিম্নআয়ের মানুষের জন্য তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে শেখানোর জন্য বিনামূল্যে সেমিনার এবং কর্মশালার আয়োজন করে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো এসএমএস, ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদির মাধ্যমে ক্রমাগত আর্থিক সাক্ষরতা বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বিভিন্ন ব্যাংক গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিচে উল্লেখিত প্রচারগুলো নিয়মিত গ্রাহকদের অবহিত করছেÑ
‘অ্যাপ-এর Password, PIN, OTP-এর মত গোপনীয় তথ্যগুলো কখনই কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। অ্যাপ থেকে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে লেনদেন সম্পন্ন করুন এবং ব্যবহার শেষে লগ-আউট নিশ্চিত করুন।’ ‘মনে রাখবেন, ব্যাংক কখনই ফোন করে আপনার অ্যাপ/কার্ডের OTP, Password-এর মতো গোপনীয় এবং ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইবে না।’
মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (MFS)-এর কার্যক্রম
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সঙ্গে, মোবাইল ফোন অপারেটর এবং ব্যাংকগুলো এসএমএস, মোবাইল অ্যাপস এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আর্থিক সাক্ষরতা পরিষেবা প্রদান করছে। এই পরিষেবাগুলোর লক্ষ্য ব্যবহারকারীদের মৌলিক আর্থিক ধারণা এবং কীভাবে ঝুঁকিমুক্ত মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা যায় এবং সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করছে। যেমনÑ গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিচে উল্লেখিত প্রচারগুলো নিয়মিত গ্রাহকদের অবহিত করছে-
‘গ্রাহকদের পিন নম্বর বা সিক্রেট কোড কখনই কারও সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। কর্তৃপক্ষ কখনই আপনার পিন নম্বর, সিক্রেট কোড বা সিকিউরিটি কোড জানতে চাইবে না।’
আরও পড়ুন:
রহস্যে ঘেরা এক অসম যুদ্ধ!
বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কার্যক্রম
বাংলাদেশের বিভিন্ন এনজিও আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন ভূমিকা রাখছে। উদাহরণস্বরূপ, শক্তি ফাউন্ডেশন মহিলাদের আর্থিক শিক্ষা প্রদান করে, তাদের গৃহস্থালির আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করার পরামর্শ দান করে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সহায়তা করতে ‘গিলডান’-এর সঙ্গে যৌথভাবে আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। এদের মূল উদ্দেশ্য হলো দম্পতি কর্মীদের আর্থিক সাক্ষরতার দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদের ব্যক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম
গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, সিওসহ বিভিন্ন এনজিও ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই ব্যক্তিদের, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় মানুষের অর্থের আরও ভালো ব্যবস্থাপনায় এবং দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে সাহায্য করার জন্য ঋণের পাশাপাশি আর্থিক শিক্ষা প্রদান করে যা আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
আর্থিক সাক্ষরতা ব্যক্তিগত ও জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যেখানে অনেক ব্যক্তির এখনও মৌলিক আর্থিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে, আর্থিক সাক্ষরতার উন্নতি জনগণের অর্থনৈতিক জীবনে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি সাধন করতে পারে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। চলমান উদ্যোগ এবং সরকার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে, বাংলাদেশ একটি আর্থিকভাবে শিক্ষিত সমাজ গড়ে তুলতে পারে। জনগণকে আর্থিকভাবে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে, নিজেদের এবং জাতির জন্য একটি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করে।
মো. রাশেদ আকতার : হেড অব রিটেইল ডিস্ট্রিবিউশন ডিভিশন অ্যান্ড চিফ ব্যাংকাস্যুরেন্স অফিসার, মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি