স্বৈরশাসনের অনিবার্য পরিণতি

ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
স্বৈরশাসনের অনিবার্য পরিণতি

জ্ঞানভিত্তিক জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার মাধ্যমে মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে উপযুক্ত ও আধুনিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি নাগরিক যদি উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠে তাহলে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন এবং প্রতিটি নাগরিকের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে উন্নয়নের সুফল ভোগের ব্যবস্থা করা সম্ভব। এভাবেই একটি দেশ কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরেও আমরা দেশের নাগরিকদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারিনি। ফলে কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন এখনও অধরাই রয়ে গেছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা বা উপলক্ষ ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভোটাধিকারের মাধ্যমে সরকার গঠন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণের ব্যবস্থা করা, যাতে দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের উপযুক্ততা অনুসারে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে। কিন্তু স্বাধীনতার পর এই দীর্ঘ সময়ে জ্ঞানভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের মতো যোগ্য নেতৃত্ব আমরা খুব কমই পেয়েছি। মূলত রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণেই নানা দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে মানবিক বিপর্যয়। অর্থনৈতিক বৈষম্য এখন চরম পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। বিত্তবান ও বিত্তহীনের মাঝে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিষয়টি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি সময় (প্রায় ২৪ বছর) দেশ শাসন করেছে। দলটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের শাসনামলেই। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল গঠনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর রচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাস্তবিক অর্থেই গণতন্ত্রের কবর রচনা করে। এই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কখনোই কারও সমালোচনা পছন্দ করে না। তারা দেশটিকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল। চাটুকার পরিবেষ্টিত এই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করত, দেশটি তাদের নিজস্ব সম্পত্তি এবং অন্য কারও ক্ষমতায় আসীন হওয়ার কোনো অধিকার নেই। তারা জনগণের ভোটাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল। বাংলাদেশে অতীতে আরও কোনো কোনো প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে দেশের সম্পদ লুট করেছে, অতীতে আর কখনোই তেমনটি প্রত্যক্ষ করা যায়নি। বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। অভিযোগগুলো এখন বিচারের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।

কিছু মানুষ বৈধ-অবৈধ পথে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে আর এক শ্রেণির মানুষ তাদের বিত্ত হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। পাকিস্তান আমলে আমরা একটি দেশের দুই অংশের মধ্যে সৃষ্ট এবং বিদ্যমান অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। আর এখন একই দেশে সৃষ্ট বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে হচ্ছে। দেশে আয়বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম, যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুতগতিতে। ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে জাতীয় আয়ে বিত্তবান ১০ শতাংশ মানুষের হিস্যা ছিল ২৮ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ৪১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে জাতীয় আয়ে নিম্ন পর্যায়ের ১০ শতাংশ গরিব মানুষের হিস্যা ২ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে ১ দশমিক ৩১ শতাংশে নেমে আসে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় কীভাবে বিত্তবান ও বিত্তহীনের সৃষ্ট অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৯৭০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সেই বিখ্যাত নির্বাচনী পোস্টারের কথা নিশ্চয়ই মনে থাকার কথা। ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেনো?’ শীর্ষক সেই পোস্টারে পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের মধ্যে বিদ্যমান অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে তা নিরসনের দাবি জানানো হয়েছিল। আর স্বাধীন হওয়ার পর আমরা নিজেরাই মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ‘কবরে’ পরিণত করেছি। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটে নিয়ে একটি সুবিধাভোগী শ্রেণি বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলছে। কিন্তু আমরা দেখেও কোনো প্রতিবাদ করতে পারছি না। আমাদের প্রতিবাদের ভাষা রুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। ‘ব্যক্তিপূজা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল যোগ্যতার অন্যতম মাপকাঠি। ব্যক্তিপূজায় যে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হলো তার দায় কে বহন করবে? স্মর্তব্য, মানুষ তার কৃতকর্মের কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকে। ভাস্কর্য তৈরি বা অন্য কোনো কারণে একজন মানুষ স্মরণীয় হয় না। আমাদের দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব ক্ষমতায় গমন করার পরই জনগণ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তাদের নানা কার্যকলাপের কারণে। কিন্তু এই অঞ্চলে অতীতে এমন নেতৃত্বও ছিল যারা রাত্রিবেলায় ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা খুঁজে বেড়াত। সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ এমনই এক শাসক ছিলেন। তিনি রাত্রিবেলায় ছদ্মবেশে প্রজাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখে বেড়াতেন। কিন্তু আজকাল যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তাদের একজনও কি সিকিউরিটি ছাড়া জনগণের মুখোমুখি হওয়ার মতো সাহস রাখেন? সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের বিচারব্যবস্থা এখনও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। কিন্তু গত সরকার আমলে বিচারব্যবস্থাকে নানাভাবে বিতর্কিত করা হয়েছে।

গত সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সামাজিক অবস্থার চরম বিপর্যয় ঘটেছে। কোনো কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলেনি। এই ক্ষতির মাত্রা কতটা গভীর তা এখনই অনুধাবন করা যাবে না। এ জন্য আমাদের আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকিং সেক্টরকে লুটেরা গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কোনো একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দেখানো যাবে না যা সঠিকভাবে চলেছে।

পাঁচ বছর পর পর জাতীয় নির্র্বাচন অনুষ্ঠিত হলে একটি সরকারের দায়বদ্ধতা অনেকটাই বেড়ে যেত। কারণ ভালো কাজ করতে না পারলে পরবর্তী নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু গত সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচনব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। পরিবারতন্ত্র, গোষ্ঠীতন্ত্র এবং দলীয় সমর্থক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক চাটুকারদের সমন্বয়ে শক্তিশালী গোষ্ঠী তৈরি করে দেশের সম্পদ লুট করা হয়েছে।

বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতির মাধ্যমে কীভাবে অর্থ লোপাট করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে গঠিত শে^তপত্র কমিটির প্রতিবেদনে তা কিছুটা হলেও ফুটে উঠেছে। শে^তপত্র কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত ১৫ বছরে ২৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে, স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। এই সময়ে রাজনৈতিক নেতারা ঘুষ গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। যে দেশের রাজনৈতিক নেতারা ঘুষ গ্রহণ করতে পারেন সেই দেশের রাজনীতি ও সামাজিক অবস্থা কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। রাজনীতি এখন আর রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। রাজনীতি এখন ব্যবসায়ী-শিল্পোদ্যোক্তাদের হাতে চলে গেছে। গত বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যারা সংসদ সদস্য হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৬৪ শতাংশই ছিলেন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা। একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে বড় ধরনের ২৪টি ঋণ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ৯৩ হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। এই অর্থের বেশির ভাগই বিদেশে পাচার করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক-বীমা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ যদি সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্বে পেত তাহলে এতদিনে উন্নয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে উন্নীত হতে পারত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা পৃথিবীর যে কোনো দেশের সঙ্গে তুলনীয়। অবস্থানগত কারণেই বাংলাদেশ অত্যন্ত উর্বর একটি জনপদ। অতীতে বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’ বলা হতো। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বোঝানোর জন্যই এই বিশেষণ ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন আমরা আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে সোনার বাংলা হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারব? সোনার বাংলা নয়, বাংলদেশ আজ সমস্যাক্রান্ত এক জনপদের নাম। ফরাসি পরিব্রাজক ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সহজ-সরল জীবনযাত্রা প্রত্যক্ষ করে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে আসার একশতটি দরজা আছে, কিন্তু ফিরে যাওয়ার জন্য একটি দরজাও নেই।’ তিনি উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশে টাকায় ২৪টিরও বেশি মুরগি পাওয়া যেত। আজ সাড়ে তিনশ বছর পর আমরা বাংলাদেশের কী অবস্থা প্রত্যক্ষ করছি? বিদেশি বণিকরা বাংলাদেশে আসত ব্যবসায়-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে। সেই সময় এ অঞ্চলের মানুষ মূলত কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। তবে বিদেশি বণিকদের দেখাদেখি এ অঞ্চলের মানুষও একসময় সীমিত পরিসরে হলেও ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বাংলাদেশ এখনও সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত, কিন্তু সেই সম্ভাবনা আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাবে একটি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা কতটা বিপন্ন হতে পারে বাংলাদেশ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

বাংলাদেশের এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের প্রচণ্ড অভাব পরিলক্ষিত হয়। কোনো দেশপ্রেমিক নাগরিক তার দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করতে পারেন না। কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষিত লোকদের একটি শ্রেণি দেশের অর্থ লুটে নিয়ে বিদেশে সম্পদ তৈরি করছে। এদেরই বলা হয় লুটেরা বুর্জোয়া শ্রেণি।

এই শ্রেণির রাজনৈতিক নেতার কারণেই দেশের এত অধঃপতন। তারা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা করতে পারেন না। আগে রাজনীতি ছিল একটি সেবামূলক কাজ। আর এখন রাজনীতি রীতিমতো পেশায় পরিণত হয়েছে। কিছু মানুষের কাছে রাজনীতি হচ্ছে একটি লাভজনক ব্যবসা, যার মাধ্যমে রাতারাতি কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। রাজনীতির মাঠে যদি টাকার খেলা বন্ধ করা যেত তাহলে অনেকেই রাজনীতি ত্যাগ করে অন্য কোনো পেশায় চলে যেতেন। অর্থ-বিত্তহীন সাধারণ মানুষের পক্ষে এখন আর নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব নয়। নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য তারা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এবং নির্বাচিত হতে পারলে সুদে-আসলে তা উসুল করে নেয়। রাজনীতিতে টাকার খেলা আমরা বিগত ১৫ বছরে প্রত্যক্ষ করেছি। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য এরা হেন কাজ নেই যা করতে পারে না। বাসে আগুন দিয়ে তার দায়ভার অন্য কারও ওপর চাপানোর মতো ঘটনাও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। বাংলাদেশ স্মরণাতীতকাল থেকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। কিন্তু বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক স্বার্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।


ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী : সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ও বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত