আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট

মাহমুদ রেজা চৌধুরী
১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট

আমেরিকার ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে এর আগে ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ একটি লেখা লিখেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আজকের এই লেখা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ২০ জানুয়ারি, ২০২৫। উল্লেখ্য, আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন জো বাইডেন, তিনি ২০ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের বলতে আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানা অগণতান্ত্রিক ও অসভ্য আচরণের দৃষ্টান্ত এখনও উজ্জ্বল। এরই মধ্যে অনেকগুলো বিচারের প্রাথমিক রায় হয়ে গেছে তার বিরুদ্ধে।

নিউইয়র্ক রাজ্যে এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে নারি কেলেঙ্কারির বিষয়ে তার ভিকটিমকে চুপ থাকার জন্য অবৈধ প্রভাব সৃষ্টি করা এবং এর জন্য অন্যায্য অর্থ দেওয়ার মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযুক্ত হন। ২০ জানুয়ারি তার শপথ নেওয়ার আগে এই মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। ট্রাম্পের আইন উপদেষ্টারা এই রায় বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। ফলাফল কী হবে তা, এখন বলা যাচ্ছে না।

এ তো গেল একটি মামলার কথা। এ ছাড়াও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনের কংগ্রেস ভবন বা ক্যাপিটল হাউসে তার সমর্থকদের দিয়ে এক পৈশাচিক ও স্বৈরতান্ত্রিক আক্রমণের অপরাধের জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়। সেই মামলার চূড়ান্ত রায় যদিও এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। তবে কংগ্রেসের হিয়ারিংয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রধান আসামি বা দোষী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।

এ রকম অনেক সিভিল ও ক্রিমিনাল মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তি পুনরায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন জনগণের ভোটেই। এই গণতান্ত্রিক বাস্তবতাও তো অস্বীকার করা যাবে না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম শাসনামল (২০১৬-২০) ছিল নানা বিতর্ক এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে চরম অবহেলা করার অসংখ্য দৃষ্টান্তের। ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যক্তি হিসেবে একজন উগ্রপন্থী, বর্ণবাদী, রক্ষণশীল, অন্যের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল, চরম মিথ্যাবাদী, পাশাপাশি প্রতিহিংসাপরায়ণ একরোখা এক ব্যক্তি। তার মতো এতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ একজন মানুষ এই পদের অযোগ্য। তবু এই ব্যক্তিকে আমেরিকার সাম্প্রতিক ইতিহাসে হোয়াইট হাউসে বসানো হয়েছে পুনরায়। আমেরিকার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে এটা এক নেতিবাচক ব্যতিক্রম হিসেবে ইতিহাসে উল্লেখ থাকবে।

১৭৮৯ থেকে ২০২৫, ২৩৬ বছর। এর মধ্যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন মোট ৪৭ জন। প্রথম জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৮৯-৯৭), পরে জন অ্যাডাম (১৭৯৭-১৮০১), টমাস জেফারসন (১৮০১-০৯), জেমস ম্যাডিসন (১৮০৯-১৭), জেমস মনরো (১৮১৭-২০)Ñ এর ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময় যেমন, প্রেসিডেন্ট আইজেন হাওয়ার, জন এফ কেনেডি, প্রেসিডেন্ট নিক্সন, প্রেসিডেন্ট কার্টার, রিগান, জর্জ বুশ, প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন, ওবামা এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাদের সবার মধ্যে চরম নিকৃষ্টতম ব্যক্তিত্ব হলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রশ্ন আসতেই পারে, তবু তিনি কেন এ দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত হলেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে! ব্যাখ্যাটা অন্য আলোচনায় করার আশা রাখি। তবে সংক্ষেপে বলা যায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনমানসিকতার সঙ্গে এবং কুরুচির সঙ্গে মার্কিন ‘মূল’ জনস্রোতের একটা বড় অংশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ তীব্রভাবে যুক্ত। আমেরিকার মূল জনগোষ্ঠীর একটা অংশ কিন্তু প্রচণ্ড রকমের বর্ণবাদী এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ। পাশাপাশি তারা ভীষণ রকম রক্ষণশীল মনমানসিকতার মানুষ। এটা ব্যাখ্যা করতে একটা বড় ইতিহাস আলোচনা দরকার। এই লেখায় না।

আপাতত ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্রতা এবং চরম অগণতান্ত্রিক আগামী চার বছরের কিছু সম্ভাবনার কথা এই আলোচনায় উল্লেখ করি। প্রথমত, লক্ষ করেছি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবার তার মন্ত্রিসভা বা ক্যাবিনেট সাজিয়েছেন তার প্রতি ‘অস্বাভাবিক’ অনুগত যারা তাদের নিয়ে। রাজনৈতিক অনেক বিশ্লেষক এরই মধ্যে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুরু থেকেই এবার তার ক্যাবিনেট সাজাতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তার প্রতি যারা অন্ধভাবে অনুগত, প্রচণ্ড রক্ষণশীল এবং যারা ট্রাম্পের একক সিদ্ধান্তকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন ও বাস্তবায়ন করবেন, তাদের। পাশাপাশি, এদের অধিকাংশ সদস্যই ট্রাম্পের মতোই ধনী এবং নানা রকম আর্থিক, নৈতিক ও সামাজিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বর্তমানে মনোনীত কয়েকজন ক্যাবিনেট মেম্বারের নাম উল্লেখ করছি এখানে। তাদের চূড়ান্ত নিয়োগ হবে আইন পরিষদের অনুমতির পর। তবে মনে করা যায়, ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থীরা অনেকেই মনোনীত হয়ে যাবেন। কারণ বর্তমানে সিনেট ও হাউসে ট্রাম্পের রিপাবলিক দল ‘মেজরিটি’ অবস্থানে। তাই আশা করা যায়, ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থীরা অধিকাংশই চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন।

তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন :

১. সুজি ওয়াইলস, হোয়াইট হাউসের নতুন চিফ অব স্টাফ। প্রচণ্ড রক্ষণশীল মহিলা।

২. তুলসী গাবার্ড, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান।

৩. ইলান মাস্ক, নতুন সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান।

৪. মার্কো রুবিও, পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

৫. পিট হেগসেথ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

৬. মাইক ওয়ালতস, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

৭. ডগ বারগাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

৮. জন রেট ক্লিফ, সিআইএ প্রধান।

৯. কিরসট নোয়েম, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।

১০. এলিস স্টেফানিক, জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত।


এখন সংক্ষেপে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে দু-একটি সম্ভাবনার কথা বলি।

ক. অভ্যন্তরীণ : এক্ষেত্রে সবার আগে আমেরিকায় যারা এখন অবৈধভাবে বসবাস করছে, তাদের প্রতি এবং তাদের ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আগের যে কোনো সময়ের চেয়েও বেশি কঠিন হবেন। যে কোনো অবৈধ অধিবাসী, তাদের যে কোনো অপরাধ ধরা পড়লেই দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। দেশের ভেতরে শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে যে কোনো উগ্রতাকেও কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তেল ও গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চেষ্টা করা হতে পারে, কিন্তু সেটার সম্ভবনা কম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অনেকটাই তেল ও গ্যাসের মূল্যের সঙ্গে যুক্ত। ইলান মাস্কের মতো একজন ব্যক্তিকে প্রশাসনের দায়িত্ব দিয়ে জনগণের ভোগান্তির আশঙ্কাকে কমানোর সম্ভাবনা কম। ইলান মাস্ক একজন চরম পুঁজিবাদী অর্থনীতি এবং বাণিজ্যিক স্বার্থের মানুষ। এরই মধ্যে ইলান মাস্ক সরকারি ব্যয় কমানো ও নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠিন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারি ব্যয় কমানোর মানে দেশের মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর ভোগান্তি বাড়ানো। চিকিৎসা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যা এখনো আছে, সেটাও আগামীতে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

খ. বৈদেশিক, ইউরোপ : এ ব্যাপারেও লক্ষ করছি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরই মধ্যে ডেনমার্কের একটি অংশ ‘গ্রিনল্যান্ড’ কিনে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন এবং হুমকিও দিচ্ছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম শাসনামলেও (২০১৬-২০) এ ধরনের একটি হুমকি দিয়েছিলেন। গ্রিনল্যান্ড বলতে গেলে মধ্য ১৩০০ শতাব্দী থেকেই ইউরোপে ডেনমার্কের অংশ। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কানাডাকেও আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত করতে চান! এ ব্যাপারে তার অভিমত, আমেরিকার অর্থনৈতিক স্বার্থে তিনি তার এই একক ইচ্ছা এবং সিদ্ধান্তের কথা ভাবছেন! আরেকদিকে তিনি ‘পানামা’ খালকেও ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চান। তিনি বর্তমান ‘মেক্সিকো উপসাগরের’ নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ করার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। মধ্যপ্রাচ্য এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসন প্রধানত ইসরায়েল ও রাশিয়ার স্বার্থকেই সবার আগে অগ্রাধিকার দেবেন বলে মনে করা হয়।

গ. দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া : এ ব্যাপারে সম্ভবত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিই ‘আপাতত’ অনুসরণ করতে পারেন। এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি সঠিক কী হবে এখন সেটা অনুমান করা না গেলেও বোঝা যায়, তিনি এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থ যেখানে বেশি নিরাপদ বলে মনে করবেন, সেদিকেই ঝুঁকে যাবেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের সঙ্গে একটা অর্থনৈতিক স্বার্থের কারণে এবং কিছু রাজনৈতিক স্বার্থের প্রয়োজনেও ভারতের গুরুত্ব বাড়ার সম্ভাবনা আছে। যেমনÑ চীনকে মোকাবিলা করতে গেলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের একটা সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান মালদ্বীপ, পাকিস্তান, এমনকি আফগানিস্তান ও কাশ্মীরÑ এসব অঞ্চলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থের অনুকূলে রাখতে ট্রাম্প ভারতের গুরুত্বকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। তাই এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করা কঠিন। তবে এশিয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। চীনকে অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবেও নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাবিত করতে চাইবে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন। এর সঙ্গে যুক্ত এশিয়ার নর্থ এবং সাউথ কোরিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের একক আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখা। এই সবগুলোর পেছনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কেবল রাজনৈতিক নয়, তার ‘ব্যক্তিগত’ ও ‘পারিবারিক’ অর্থনীতির বিকাশ ও সমৃদ্ধির একটা ব্যাপারও আছে এবং তা থাকবে। ট্রাম্পের অর্থনৈতিক স্বার্থের একটা বড় দিক তার ব্যক্তিগত ও পরিবারকেন্দ্রিক বল্গাহীন ইচ্ছার প্রতিফলন করার চেষ্টা।

সংক্ষেপে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বে আমেরিকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আধিপত্যকে সামরিক ও বেসামরিকভাবে চাপে রাখবেন তার দ্বিতীয় শাসন আমলেও। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও তার উগ্রতা ও অনমনীয়তাও কার্যকরীভাবে বজায় রাখবেন। এতে বিশ্বে নতুন এক উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে, এশিয়া মহাদেশসহ ইউরোপেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে (২০২৫-২৮) নতুন ধরনের সন্ত্রাস ও বিদ্রোহের সম্ভাবনা আছে।

এটা ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য বা এশিয়া থেকেও শুরু হতে পারে এবং আমেরিকার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকেও তা জটিল করে দিতে পারে।

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমেরিকা পৃথিবীর কোনো দেশ থেকেই খুব বেশি দূরে নয়। তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মন্দ প্রভাব খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাবে ইউরোপ এবং এশিয়ায়ও। আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারেই নেবেন বলে আশা রাখি; কারোর দ্বারাই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত এবং অতি নির্ভরশীল না থাকা। আত্মনির্ভরশীল হওয়া এবং জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকাই এই সংকটের সমাধান।


মাহমুদ রেজা চৌধুরী : লেখক ও সামাজিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক