যুগলসৌন্দর্য দেখতে পদ্মাপাড়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে দর্শনার্থীর ভিড়
এবার থার্টিফার্স্টের জমকালো আয়োজন না থাকলেও বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে সকাল সকাল ভেড়ামারা-পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টের দুই পারের যুগল সৌন্দর্য লালন শাহ সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। প্রতি বছর বর্ষবিদায় ও নতুন বছর বরণ করতে এবারও উপচেপড়া ভিড়। পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে তারা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছেন।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন দর্শনার্থীরা। একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে প্রজন্মের সাক্ষী হয়ে ১০৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী দেশের বৃহত্তম হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও পাশেই লালন শাহ সেতু দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। রূপ-মাধুর্যে ভরা পাকশীর জোড়া সেতু এলাকায় ভিড় একটু বেশি। এ ছাড়া নৌকায় চড়ে ভেড়ামারার পদ্মাপারে মনি পার্ক ও আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হজরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র.)-এর মাজার দেখার জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে ভিড় করছেন লোকজন।
পাকশী মানুষের চাহিদার অন্যতম কারণ হলো ঐতিহ্যবাহী পাকশী পেপার মিল, ফুরফুরা শরীফ, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর, বিশাল অঞ্চল নিয়ে পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়, বিবিসি বাজার, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রিসোর্টসহ ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনা।
আরও পড়ুন:
ডেমরায় এক কক্ষে কিশোরী ও যুবকের মরদেহ
এখানকার প্রকৃতির রূপ দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থী আব্দুল ছালামশাহ্ বলেন, পদ্মা নদীর ওপর লালরঙা হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি শত বছর পার হলেও এ ব্রিজের সৌন্দর্য এক চিলতেও নষ্ট হয়নিÑ শুনে ঘুরতে এসেছি।
পদ্মার পাদদেশে নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু মিলে এই এলাকা যেন সৌন্দর্যের আধারে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আফরোজা পারভীন পেলেন অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ঘুরতে আসা নজরুল ইসলাম নামে দিনাজপুরের এক যুবক জানান, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ সেতু ও রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জিকে সেচ প্রকল্প দেখতে এসেছি। খুবই ভালো লাগল। দিনের আলো বাড়লে এই এলাকায় জনসমাগম আরও বাড়বে।
খুলনা থেকে পিয়াস নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, পদ্মা নদীর ঢেউ দর্শনার্থীদের হৃদয়কে ভরিয়ে দিয়েছে। ব্রিজের পাশাপাশি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও লালন শাহ সেতু এখানকার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ জনের মৃত্যু ভর্তি ৬৪৫
পদ্মা নদীর নির্মল পরিবেশ দেখতে সব বয়সী নারী-পুরুষ ছুটে আসেন। পদ্মাপারের মুক্ত বাতাস আর সুউচ্চ পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখতে কার না ভালো লাগে! তাই তো দূর-দূরান্ত থেকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্ট।