ড্যাফোডিলে ‘ঐতিহ্যের হাট’
দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা মানসিকতা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ডিপার্টমেন্ট অব ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ আয়োজন করেছে ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট ‘ঐতিহ্যের হাট’। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সমাহার নিয়ে রাজধানীর সাভারে অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয়বারের মতো আয়োজনটি।
২০২২ সালে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ স্লোগানকে ধারণ করে শুরু হওয়া এই উদ্যোগ ইতোমধ্যেই দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও সংস্কৃতির প্রচারে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চর্চার ক্ষেত্র তৈরির পাশাপাশি দেশীয় ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে একটি সফল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
আরও পড়ুন:
বৈষম্য ঘোচানোই সত্যিকার মানবিক অর্জন
১৮ নভেম্বর গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সপ্তাহ (১৮-২৪ নভেম্বর) ২০২৪-এর উদ্বোধনী আয়োজনে ‘ঐতিহ্যের হাট’ জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব-উল হক মজুমদার, বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাসুম ইকবাল, গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সপ্তাহের ন্যাশনাল হোস্ট কে.এম. হাসান রিপন এবং ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
আরও পড়ুন:
ইবিতে শীতের আগমনী বার্তা
দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য, সংস্কৃতি এবং উদ্যোক্তা চর্চার সমন্বয়ে এ বছর ঐতিহ্যের হাট বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিল। বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী পণ্যের প্রদর্শনী এবং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীলতা ও ব্যবসায়িক দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পায়। পণ্যের ধরন, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, পণ্যের চাহিদা ও স্টলের ডেকোরেশনসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় এবারের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ভোলা জেলা, প্রথম রানার্সআপ ফেনী জেলা, দ্বিতীয় রানার্সআপ মানিকগঞ্জ জেলা এবং তৃতীয় রানার্সআপ হয় লক্ষ্মীপুর জেলা। ইভেন্টটির কো-পার্টনার ছিল সোশ্যাল বিজনেস স্টুডেন্টস ফোরাম এবং ড্যাফোডিল এন্ট্রাপ্রেনিউরস ক্লাব। ক্লাব পার্টনার হিসেবে অংশ নেয় বিজনেস অ্যান্ড এডুকেশন ক্লাব।
আরও পড়ুন:
আগামীর পৃথিবী হবে নিপীড়িত মানুষের