বিআইডব্লিউটিএ সিভিল ও সার্ভেয়ারদের পদায়ন জটিলতা
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কর্মরত বিআইডব্লিউটিএর সিভিল ও সার্ভেয়ারদের পদায়ন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে এই জটিলতা সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। এ বিষয়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করার অভিযোগ তুলেছেন সিভিল কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, সার্ভেয়াররা হলেন ডিপ্লোমাধারী, ১৪তম গ্রেডের (৩য় শ্রেণির) কর্মচারী। অথচ তারা সহকারী প্রকৌশলী হতে চান। যেখানে উপসহকারী প্রকৌশলীর সিভিল সার্টিফিকেটধারীদের পদোন্নতির জন্য চাকরির মেয়াদকাল ৬ বছর পূর্ণ হতে হয়, সেখানে ডিপ্লোমাধারীরা কীভাবে সহকারী প্রকৌশলীর জন্য আন্দোলন করেন, তা তাদের জানা নেই। নিয়মানুযায়ী, সার্ভেয়াররা সর্বোচ্চ উপসহকারী প্রকৌশলী হতে পারবেন। কিন্তু কিছু অসাধু লোকের ইন্দনে তারা সহকারী প্রকৌশলী দাবি করে আসছেন, যা প্রবিধানমালায় নেই।
এ ছাড়া যেসব সার্ভেয়ার ২০০৩ সালে যোগদান করেন তারাই সহকারী প্রকৌশলী হতে চাচ্ছেন। সারাদেশের সার্ভেয়াররা ডিপ্লোমাধারী ১০ম গ্রেড হওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন, যা আদৌ হবে কিনা নিশ্চয়তা নেই। অথচ তারা জোর করে সহকারী প্রকৌশলী হওয়ার জন্য তদবির করছেন।
আরও পড়ুন:
ডেমরায় এক কক্ষে কিশোরী ও যুবকের মরদেহ
জানা গেছে ২০২২ সালে সিভিল ও সার্ভেয়ারদের জটিলতা নিরসনে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক সিভিল প্রকৌশলী জানান, সার্ভেয়ারা কোনোভাবে সহকারী প্রকৌশলী হতে পারেন না। ২০২২ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের আমলে একটি বোর্ড মিটিং হয়। ওই বোর্ড মিটিংয়ে তাদের পক্ষে রায় যায়। তখন আমরা সিভিলের সবাই কোর্টে মামলা করি। এরপর ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসের দিকে কোর্টের সমঝোতার বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে মতামত দেন। সে মতামতের ভিত্তিতে সিভিল ৬০% ও সার্ভেয়ার ৪০% সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমানে সে সিদ্ধান্ত সিভিলরা চাচ্ছেন না। কারণ প্রবিধানমালা অনুযায়ী সার্ভেয়ার ডিপ্লোমাধারী। তারা কোনোভাবেই সহকারী প্রকৌশলী হতে পারেন না।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে তারা সার্ভেয়াদের পক্ষ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
আফরোজা পারভীন পেলেন অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার
আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ জনের মৃত্যু ভর্তি ৬৪৫