১৭০০ কিডনি প্রতিস্থাপন অধ্যাপক কামরুলের

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
১৭০০ কিডনি প্রতিস্থাপন অধ্যাপক কামরুলের

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে একদিকে নানা জটিলতা, অন্যদিকে নামকরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে গলাকাটা চিকিৎসা ব্যয়। এতে করে অধিকাংশ কিডনি বিকল রোগী ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকছেন। এর মধ্যেই বিনা পারিশ্রমিকে বছরের পর বছর শত শত কিডনি প্রতিস্থাপন করে চলেছেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম। এবার তিনি নতুন মাইলফলকে পৌঁছলেন। নিজ হাতে ১৭শ কিডনি প্রতিস্থাপনের রেকর্ড গড়েছেন এই চিকিৎসক। যা দেশের ইতিহাসে অনন্য।

কামরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান রাজধানীর শ্যামলীর সেন্টার পর কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে (সিকেডি) ১৭ বছর ধরে কিডনি প্রতিস্থাপন করে আসছেন তিনি। যার সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশর বেশি। গত সোমবার নোয়াখালীর রোম্মান নামের এক যুবকের কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ১৭শতম কিডনি প্রতিস্থাপন করেন কামরুল ইসলাম। ২৮ বছর বয়সী রোম্মানের গত বছর দুটি কিডনি বিকল হয়ে যায়। পঞ্চাশোর্ধ্ব মা গোলাপী বেগম ছেলেকে একটি কিডনি দিয়েছেন। বর্তমানে দুজনই সুস্থ আছেন।

অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘দেশে প্রতিবছর পাঁচ হাজারের বেশি কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সক্ষমতা থাকলেও নানা কারণে খুব একটা গতি নেই। আর খরচও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের রোগীদের বড় অংশেরই আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এ জন্য কম খরচে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।’

ডা. কামরুল ইসলাম আরও বলেন, হাসপাতালটি বড় করা গেলে প্রতিস্থাপনের হার আরও বাড়ত। এ জন্য বড় জায়গা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এর জন্য যে ফান্ড দরকার সেটির সংকট রয়েছে।