কৃষকের পাশে কৃষি ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

তানিউল করিম জীম
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
কৃষকের পাশে কৃষি ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

সম্প্রতি ভারতে আকস্মিক বাঁধ খুলে দেওয়ায় বন্যার কারণে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের প্রায় ১১টি জেলা তলিয়ে যায়। দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধার এবং ত্রাণ পৌঁছে দিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কৃষি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়গুলো। বন্যা হওয়ায় বীজতলা এবং রোপণকৃত চারা সবকিছুই নষ্ট হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা চিন্তা করেছেন বন্যা-পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কীভাবে সহায়তা করা যায়। কারণ কিছুদিন পর বন্যার পানি নেমে গেলেও, আবার চারা তৈরি করতে এক মাসের মতো সময় লাগবে। এতে করে আমন ধান লাগানোর সময় চলে যাবে। আবার বন্যার কারণে চারা তৈরি করতে কৃষকরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়বেন। দেশে দেখা দেবে খাদ্য সংকট। এই খাদ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগে সহায়তা করছে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কৃষি বিজ্ঞানী, অ্যালামনাইবৃন্দ এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কৃষি বিষয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

নোবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ১ একর জমিতে বিনা ধান ১৭ জাতের বীজ বপন করবেন। তারা অ্যাগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বিডির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন।


ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

বিশ্ববিদ্যালয়টির ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচারাল সায়েন্সের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে বিনা ধান-২০ এর চারা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। ২০০ কেজি ধানের চারা সফলভাবে তৈরি করতে পারবেন বলে তারা আশাবাদী। পরবর্তী সময়ে চারাগুলো বন্যাকবলিত এলাকায় কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বন্যার্তদের কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বীজ বপন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা মাঠে ১ একর জমিতে বিনাধান-১৭ এবং বিআর-২৩ এর প্রায় ৩১০ কেজি বীজ বপন করা হয়। যথাসময়ে ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় নির্ধারিত ১০০ কৃষকদের সরবরাহ করবেন তারা।