বন্যার শঙ্কা কাটিয়ে জগন্নাথপুরে রোপা আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক
বন্যার পানিতে নিমজ্জিত চাষের জমি ভেসে ওঠায় জগন্নাথপুর উপজেলায় রোপা-আমন ধান চাষাবাদ শুরু হয়েছে। পানির কারণে সময়মতো বীজতলায় চারা হয়নি। পানি নামার সঙ্গে কৃষকরা বীজতলা প্রস্তুত করে বীজধান বপন করেন। বিলম্বে হলেও এখন চারা রোপণ উপযোগী হয়েছে। কৃষকরাও শঙ্কা কাটিয়ে রোপা-আমন ধান চাষাবাদ করতে শুরু করেছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় নয় হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চারশত নব্বই হেক্টর বীজতলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। রোপা-আমন চাষাবাদের জন্য এক হাজার তিন শত কৃষককে সার বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়।
আলমপুর গ্রামের কৃষক মঞ্জুর আহমদ বলেন, বন্যার পানি থাকায় চারা কিনে এনে রোপণ করছি। নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক মজলিস মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় পানির জন্য সময়মতো বীজতলা প্রস্তুত করতে পারিনি, তবুও চারা রোপণ করছি, আশাবাদী এবার ভালো ফলন হবে।
গন্ধর্বপুর গ্রামের কৃষক এখলাছুর রাহমান বলেন, এবার আমন চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম, পানি দেরিতে কমেছে, এখন চাষাবাদ শুরু করতে পারছি। কৃষক মাসুম খান বলেন, চাষের জমিতে প্রচুর পরিমাণ পলিমাটি পড়েছে, এখন বীজধান ছিটিয়ে ফেলছি, আল্লাহ দিলে ফলন পাব।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, এখন বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৬শ ৪ হেক্টর, আশাবাদী আমনে লক্ষ্যমাত্রা এবারও ছাড়িয়ে যাবে, এখন আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে চাষাবাদে আর কোনো সমস্যা হবেনা, আগের চেয়ে আমন ধান চাষাবাদের প্রবণতা বেড়েছে, কৃষি অফিস কৃষকের সকল সুযোগ-সুবিধা সহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।