গাইবান্ধায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসে বর্ণাঢ্য র্যালি
গাইবান্ধায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস বা হুল উপলক্ষে আলোচনাসভা, সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করা হয়। গতকাল দুপুরে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ, এএলআরডি ও জনউদ্যোগ গাইবান্ধার ব্যানারে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের শুরুতে সাঁওতালরা তীর, ধনুক, ঢোল, সানাই নিয়ে বর্ণাঢ্য একটি র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন রাজনীতিক ও ক্রীড়াবিদ ওয়াজিউর রহমান রাফেল, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের জেলা আহ্বায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, আদিবাসী নেতা বার্নাবাস টুডু, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির নেত্রী প্রিসিলা মুর্মু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর তনু, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলি রানী দেবী, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার সদস্য সচিব কাজী আব্দুল খালেক, আদিবাসী নেতা গৌড় চন্দ্র পাহাড়ী, মার্থিয়াস মার্ডি, ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির নেতা ময়নুল হোসেন, আদিবাসী নেত্রী সুচিত্রা মুর্মু তৃষ্ণা, অলিভিয়া হেমব্রম, সুফল হেমব্রম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও এখনো সাঁওতালরা জাতিগত সহিংসতা-নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। ২০১৬ সালে গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে হামলা-অগ্নিসংযোগ-লুটতরাজ ও তিন সাঁওতাল হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও করতে পারেনি সরকার। গত তিন প্রজন্মে ৩ লাখ বিঘার বেশি জমি হারিয়েছে। অবিলম্বে সাঁওতালদের বাপ-দাদার তিন ফসলি জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।
আরও পড়ুন:
ডেমরায় এক কক্ষে কিশোরী ও যুবকের মরদেহ
উল্লেখ্য, ১৮৫৫ সালে ভারতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়। সেই বিদ্রোহে নিহত হন সাঁওতাল নেতা সিধু-কানুসহ ১০ হাজারেরও বেশি সাঁওতাল। তখন থেকে সাঁওতালরা প্রতিবছর ৩০ জুন সাঁওতাল ‘হুল’ বা বিদ্রোহ দিবস পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন:
আফরোজা পারভীন পেলেন অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার