কুয়াকাটায় দেড় বছরে ভেসে এসেছে ২৫টি ডলফিন
গতকালও সৈকতে দেখা মেলে মৃত ইরাবতীর
১৩ দিনের ব্যবধানে আবারও কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে একটি মৃত ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন। এটি আট ফুট লম্বা। ডলফিনটির মাথার চামড়া উঠে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকালে সৈকতের ঝাউবন এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য জুয়েল রানা। জোয়ারের পানির সঙ্গে ভেসে আসা ডলফিনটিকে সরিয়ে নিতে বন বিভাগের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। এর আগে গত ১৪ জুন সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বোটলনজ প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছিল। এ নিয়ে চলতি বছরে জীবিত ও মৃত ১০টি এবং গত বছর (২০২৩) ১৫টি মৃত ডলফিন কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে।
জুয়েল রানা জানান, সৈকত দিয়ে যাওয়ার সময় ঝাউবন এলাকায় জোয়ারের পানির সঙ্গে ভেসে আসা মৃত ডলফিনটিকে দেখতে পান। ডলফিনটির শরীরে পচন ধরেনি, দেখে মনে হয়েছে ১০-১২ ঘণ্টা আগে মারা গেছে। তবে এর মাথার দিকের চামড়া উঠানো রয়েছে। ডলফিনটি কী কারণে মারা গেছে তা বুঝতে পারছি না।
আরও পড়ুন:
ডেমরায় এক কক্ষে কিশোরী ও যুবকের মরদেহ
সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি
বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে যে সংখ্যায় জীবিত ও মৃত ডলফিন আসছে তাতে মনে হচ্ছে সমুদ্র তার আগের পরিবেশ হারাচ্ছে। আমরা এর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছি।
আরও পড়ুন:
আফরোজা পারভীন পেলেন অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যদের তথ্যমতে, চলতি বছরে জীবিত ও মৃত ১০টি এবং গত বছর (২০২৩) ১৫টি মৃত ডলফিন কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে। কমিটির অন্যতম সদস্য কেএম বাচ্চু জানান, তাদের কমিটির একজন সদস্যের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সদস্যদের খবর দেন। তিনি আরও জানান, উপকূলীয় এলাকাজুড়ে ডলফিন নিয়ে তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন কিছুদিন পর পর ডলফিন মৃত্যুর সঠিক কারণগুলো বের করার দাবি জানান তিনি।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মৃত ডলফিনটিকে মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ জনের মৃত্যু ভর্তি ৬৪৫