প্রজ্জ্বলিত জ্ঞানের ১৩ পেরিয়ে ১৪তে পদাপর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

ফারহানা ইয়াসমিন
০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
প্রজ্জ্বলিত জ্ঞানের ১৩ পেরিয়ে ১৪তে পদাপর্ণ

কীর্তনখোলা নদীর পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, আমাদের প্রাণের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৩তম বছর অতিক্রম করে ১৪তম বছরে পদার্পণ করেছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি জায়গা করে নিয়েছে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। এবারের বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবস উপলক্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থীর মতামত তুলে ধরেছেন সমাজবিজ্ঞান

বিভাগের শিক্ষার্থী, ফারহানা ইয়াসমিন

আধুনিক শিক্ষালয়ে রূপান্তরিত হোক প্রাণের ক্যাম্পাস

তাহমিদ মামনুন হক, শিক্ষার্থী, মার্কেটিং বিভাগ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের ৩৩তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার দিন থেকে এখন পর্যন্ত সঠিক ও সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে একজন নবীন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ। আমি অনুভব করি, ক্যাম্পাসের প্রতি প্রাঙ্গণে সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোর স্পন্দন। ইতিমধ্যেই আমাদের মাননীয় উপাচার্য মহোদয়, শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রকারের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ওপর জোরদার ভূমিকা রেখেছেন। আশা রাখছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান গতিশীলতা বজায় থাকলে অচিরেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি আধুনিক ও উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে।

শুভ জন্মদিন আমার ঠিকানা, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়’

ফাতেমা তুজ জোহরা মাইসা, শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ

২৩ আগস্ট, ২০২৩ এসেছিলাম প্রথমবার দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। দিনটি ছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তির দিন। সেদিন ভর্তি শেষে আম্মুকে নিয়ে এই ৫০ একর ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। নদীবেষ্টিত ছোট-খাটো, গোছানো নবীন ক্যাম্পাস আমার আজ ১৪ বছরে পদার্পণ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বহিঃপ্রকাশ এই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। গুটি গুটি পায়ে নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন অনেক পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে ক্যাম্পাসে যা প্রশংসার দাবিদার। এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমার প্রত্যাশা অতিদ্রুত ক্যাম্পাসের পরিত্যক্ত জায়গাগুলোর সদ্ব্যবহার করা এবং সেই সঙ্গে কিছু দৃষ্টান্তমূলক ভাস্কর্য স্থাপন করা। পরিশেষে আবারও জানায় শুভ জন্মদিন আমার ঠিকানা। যুগ যুগ ধরে এভাবেই দক্ষিণবঙ্গের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাক আমার প্রাণের ক্যাম্পাস।

দক্ষিণ বঙ্গের বাতিঘরের ১৪ বছরে পদার্পণ

আফসানা মিমি (তিশা), শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সুরভিত প্রাচ্যের ভেনিসখ্যাত বরিশাল। এখানে অবস্থিত দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দেশের ৩৩তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু পার করার সময় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে চারপাশে সবুজ গাছপালার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল ভবনগুলো। ইতোমধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৩ বছর অতিক্রম করে ১৪ বছরে পদার্পণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মুক্তচিন্তা করার সুযোগ দেয়। আর এই অল্প সময়ের মধ্যে এই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দিয়েছে জ্ঞান চর্চার সুযোগ। এখানে আছে নানা ধরনের শিক্ষামূলক সংগঠন যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে পারদর্শী করে তুলছে।

সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় এগিয়ে চলেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয়টি তার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে গতিশীলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। একঝাঁক তরুণ-মেধাবী শিক্ষকমণ্ডলী, মেধাবী শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় এগিয়ে চলেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় যেন নেতৃত্ব দিতে পারে সেই লক্ষেই আমরা এগিয়ে যাব। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে, ইতিমধ্যে আমরা সবার সহযোগিতায় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

বিশ্ব দরবারে সবাই এক নামে চিনবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালকে

মেরাজ হোসেন চিশতী, শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

দীর্ঘ এক বন্ধুরপথ অতিক্রম করে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে যাত্রা চলমান এই প্রাণের বিদ্যাপীঠ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের। কীর্তনখোলার কোল ঘেঁষে সদা প্রোজ্জ্বলিত জ্ঞানের মশাল হাতে ১৪ বছর ধরে দাঁড়িয়ে ৫০ একরের এ বিদ্যাপীঠ। অনেক সীসাবদ্ধতা পেরিয়ে নতুন উদ্যমে বারংবার এগিয়ে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমার প্রত্যাশা একদিন বিশ্ব দরবারে সবাই এক নামে চিনবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে। শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতা ও শিক্ষক সংকট কাটিয়ে উঠে শিক্ষা, সাহিত্য, গবেষণা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে অনন্যতার ছাপ রাখবে একদিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ও দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে অসামান্য অবদান রাখবে এ বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের অভিভাবক মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের নিকট আজ এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে একটাই আর্জি জানাচ্ছি, সব স্বল্পতা ও প্রতিকূলতা কাটিয়ে বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় তিনি আমাদের উপহার দেবেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সত্যিকার অর্থেই ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হয়ে উঠুক, এই কামনাই রইল।