দেবে যাওয়ার তিন বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু

রাশেদুল ইসলাম খান, মানিকগঞ্জ
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
দেবে যাওয়ার তিন বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু

নির্মাণের দুই বছরেই দেবে গেছে দৌলতপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর চরপাড়া গ্রামের খালে নির্মিত সেতুটি। ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় সেতুটি। দেবে যাওয়ার তিন বছর পরও সংস্কার করা হচ্ছে না। এতে সেতুর আশপাশের পাঁচটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির দক্ষিণ পাশের একাংশ দেবে গেছে। দুই পাশের সংযোগ (অ্যাপ্রোচ) সড়কও পুরোপুরি ধসে গেছে। সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করছেন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের দুই বছর পর দুই পাশে মাটি ফেলে সংযোগ সড়কও নির্মাণ করা হয়। তবে ২০২০ সালে বন্যায় সেতুটির দক্ষিণ পাশের একাংশ দেবে যায় এবং দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটিও ধসে যায়। এরপর থেকে সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না। এরপর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুটি সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৪৬৫ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। মেসার্স এল রহমান নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটি নির্মাণ করে। ২০১৮ সালে সেতুর কাজ শেষ হয়। তখনও সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি। ফলে সেতুটি ব্যবহার করা যাচ্ছিল না। ২০২০ সালের শুরুর দিকে দুই পাশে মাটি ফেলা হয়। এর কয়েক মাস পরই বন্যার পানির স্রোতে সেতুটির একাংশ দেবে যায়। স্রোতে ভেসে যায় দুই পাশের সংযোগ সড়ক।

রামচন্দ্রপুর গ্রামের মুরগির খামারি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটি (সেতু) নির্মাণের দাবি জানাইয়া আইছিলাম। পরে ব্রিজটি হইলেও তা ব্যবহারও করতে পারি নাই। এহন চরম কষ্টের মইধ্যে আছি।’ বিষ্ণপুর গ্রামের কফিল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিনে সেতুটি সংস্কার না করায় দুর্ভোগে রয়েছেন তারা। প্রায় চার কিলোমিটার পথ ঘুরে কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন মালামাল আনা-নেওয়া করা হয়। বিষয়টি নজরে আনা হলে পিআইও মো. মমিনুর রহমান বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় সেতুটি সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণের সুযোগ নেই। কারণ, ওই স্থানসহ আশপাশে খালটির প্রশস্ততা বেড়েছে। ৪০ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় পড়ে না।