স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বিএসটিআইয়ের মান মেনে চলার তাগিদ

সিগওয়ার্কের গোলটেবিল বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বিএসটিআইয়ের মান মেনে চলার তাগিদ

খাবার প্যাকেটের কালিও যে অনিরাপদ এবং স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে- এটা খুব অল্প মানুষই জানেন। সাধারণ মানুষকে নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা দিতে সম্প্রতি নতুন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি পণ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত কালির মান নির্ধারণ করে দিয়েছে। ফলে দেশে খাদ্যপণ্য প্যাকেজিং ও কালি উৎপাদনে আরও সতর্ক হতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

নিরাপদ খাদ্য দিবসের আগের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যম ও অংশীদারদের নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করেছে বৈশ্বিক খাদ্য প্যাকেজিং অ্যাপ্লিকেশন, লেবেলের জন্য প্রিন্টিং কালি ও কোটিং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিগওয়ার্ক। এ আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো তুলে ধরা। সেই সঙ্গে খাবার প্যাকেজিংয়ে প্রিন্টিং কালি ব্যবহারের নির্দেশনা নিয়ে বিএসটিআইয়ের মান মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

সেশনটি পরিচালনা করেন সিগওয়ার্কের ভারত অঞ্চলের ব্র্যান্ড ওনার কোলাবোরেশন বিভাগের হেড যতীন টাক্কার। গোলটেবিল বৈঠকে প্যাকেজিং সাপ্লাই চেইন, প্যাকেজিং উপাদানের নিরাপত্তা এবং ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

এ সময় যতীন টাক্কার বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে দারুণ অগ্রগতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কাজেই যথাযথ ও নিরাপদ সলভেন্ট, পিগমেন্ট ও অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিং প্রস্তুত করতে হবে। আর তার জন্য নিয়ন্ত্রক ও সাপ্লাই চেইন উভয় দিক থেকেই খাদ্য প্যাকেজিংয়ে বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি মানদণ্ড ঠিক করেছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে তা মেনে চলা জরুরি।’

একই দিন বিকালে অংশীদারদের নিয়েও একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে দেশীয় ব্র্যান্ড মালিক ও কনভার্টাররা খাদ্য প্যাকেজিংকে নিরাপদ করে তোলার ক্ষেত্রে তাদের তাৎপর্যপূর্ণ বিভিন্ন পদ্ধতি তুলে ধরেন।