মাংস ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকিদাতা-নির্দেশদাতা কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক
৩১ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:৪৯
শেয়ার :
মাংস ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকিদাতা-নির্দেশদাতা কারাগারে

কমদামে গরুর মাংস বিক্রির ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানকে হত্যার হুমকিদাতা মো. নুরুল হক ও নির্দেশদাতা মোহাম্মদ ইমনকে ২ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৭ জানুয়ারি রাতে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। কম দামে মাংস বিক্রি করায় মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা খলিলুর রহমান ও ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রেতাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ১৮ জানুয়ারি খলিলকে ফোন করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ছাড়া কম দামে মাংস বিক্রি করলে তাকে ও তার ছেলেকে দুই দিনের মধ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর গত ২০ জানুয়ারি খলিলুর রহমান শাহজাহানপুর থানায় হুমকি সংক্রান্তে একটি (জিডি) করেন।

মাংস ব্যবসায়ী খলিল তার ‘খলিল গোস্ত বিতান’নামে মাংসের দোকান গত ১৯ নভেম্বর ৫৯৫ টাকায় প্রতি কেজি মাংস বিক্রি শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেটা ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে। এরপর আরও কিছু মাংস ব্যবসায়ী প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি শুরু করেন। গত ২২ ডিসেম্বর ভোক্তা অধিদপ্তর মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন বৈঠক করে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।

র‌্যাবের দাবি, মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা কিছুদিন আগে রাজশাহীর বাঘার আড়ানি হাটে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করায় এক মাংস ব্যবসায়ীকে খুন করেন। গ্রেপ্তার নুরুল হক দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়া থানার পাথালিয়া ইউনিয়নের চারিগ্রাম এলাকায় ডিশ ও ইন্টারনেটের ব্যবসা করতেন। পরিচিত এক ব্যক্তি তাকে খলিলকে ফোনে হত্যার হুমকি দিতে বলেন। বিনিময়ে তিনি ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায় ঠিক করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। নুরুলের কথামতো খলিলকে ফোনে হুমকি দেন ইমন।

গ্রেপ্তার নুরুলের নামে ঢাকার আশুলিয়া থানায় হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে চারটির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব। ইমন দীর্ঘদিন ধরে নুরুলের ডিশের ব্যবসার কাজে সহায়তা করতেন।