আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর কারাদণ্ড
চেক ডিজঅনারের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরীর ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি চেকের সমপরিমাণ ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তসরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী নিকুঞ্জ বিহারী আচার্য্য।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৮ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর গাড়িচালক ভুক্তভোগী নুরুজ্জামান রিপন আলিশা মার্ট লিমিটেড থেকে ডিসকাউন্টে ক্রয়ের জন্য একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। এ জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার ৩১০ টাকা নগদ ও বিকাশে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। টাকা পরিশোধের পর ৪৫ দিন পার হলেও তার মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দেননি আলিশা মার্ট। একাধিকবার মোটরসাইকেল হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়ে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা চেক প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২০ মার্চ সোনালী ব্যাংক লিমিটডের ডিস্ট্রিক কাউন্সিল হল শাখায় চেক নগদায়নের জন্য জমা দিলে সেটা ডিজঅনার হয়। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার টাকার বিষয়ে আলেশা মার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা টালবাহানা করতে থাকে।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৯ মে নুরুজ্জামান রিপন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়। তবে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি প্রতারণার পৃথক ৯ মামলায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারের জামিন মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত।
জামিন হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সাতটি মামলায় এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব দুইটি মামলায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগের দিন গত ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ৯টি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানামূলে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন:
১১ বছরেও বিচারে অগ্রগতি নেই