স্বতন্ত্রের সঙ্গে নোঙরও ভাবাচ্ছে নৌকাকে
ফরিদপুর-১ আসনে তিন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় ভোটাররা। সম্ভাব্য এই ত্রিমুখী লড়াইয়ে আছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মাদ আবু জাফর ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলন।
ফরিদপুর-১ আসনটি আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী নিয়ে গঠিত। এ আসনে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন ২২ জন। এদের মধ্যে মনোনয়ন পান দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলন। আর নোঙর প্রতীকে আছেন বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মাদ আবু জাফর, যিনি এ আসনে দুবার সংসদ সদস্য ছিলেন; একসময় করেছেন বিএনপির রাজনীতিও।
আবদুর রহমান এ আসন থেকে ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু নানা সমালোচনার কারণে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পাননি তিনি। তাকে বাদ দিয়ে নৌকা তুলে দেওয়া হয় ‘হঠাৎ’ রাজনীতিতে আসা সাবেক সচিব মঞ্জুর হোসেন বুলবুলকে। তবে এবারের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চাননি।
আরও পড়ুন:
ডেমরায় এক কক্ষে কিশোরী ও যুবকের মরদেহ
স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন দীর্ঘদিন ধরে নিজের নির্বাচনী এলাকায় রাজনীতি করছেন। এ কারণে তার অনেক কর্মী-সমর্থক রয়েছে। অন্য দুই প্রার্থীর সঙ্গে দোলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবেন বলে ধারণা করছেন ভোটাররা। পেশা হিসেবে সাংবাদিকতায় সম্পৃক্ত দোলন বেশ কিছু জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছেন। বর্তমানে আছেন একটি দৈনিকের সম্পাদক পদে।
বোয়ালমারী চৌরাস্তা বাজারে কথা হয় ফল ব্যবসায়ী জাকির শেখের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কে যে জিতবে তা বলা যাচ্ছে না। কারণ তিনজনই ভালো প্রার্থী। এ কারণে এখানে ভোটে ভালোই লড়াই হবে।’
আরও পড়ুন:
আফরোজা পারভীন পেলেন অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার
মধুখালীর বাসিন্দা হাবিব বলেন, ‘এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। একেক এলাকায় একেক প্রার্থীর আধিপত্য রয়েছে।’
এই আসনে আরও দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেনÑ বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুর ইসলাম শিকদার ও জাতীয় পার্টির আক্তারুজ্জামান। তবে ভোটের প্রচারে তাদের কর্মী-সমর্থকদের খুব একটা দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ জনের মৃত্যু ভর্তি ৬৪৫
এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ১৪৪ জন। পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৯ হাজার ১৮১ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৩ জন।