অতিরিক্ত মুনাফা আদায়কারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে
মৌসুমেও আলু পেঁয়াজে ভোক্তার পকেট কাটা
বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে অস্থিরতা লেগেই থাকে। বিশেষ করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই একের পর এক পেঁয়াজ, চাল, তেল, ডিম, সবজি, কাঁচামরিচসহ প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামই বেড়েছে। তা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। মৌসুমেও আলু পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। কেন বাড়ছে এর অন্যতম কারণ সিন্ডিকেট। গতকাল আমাদের সময়ের এক প্রতিবেদনে জানায় যায়- বাজারে নতুন আলু ও পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ সত্ত্বেও এ দুটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দামে এর প্রভাব পড়েনি। প্রতিকেজি আলুতে ৩৪ টাকা এবং পেঁয়াজে ৫৫ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে। ভরা মৌসুমে আলুর দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেশি দিয়ে কেন কিনতে হবে? অথচ আলু ও পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই, তবু অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের পকেট কাটছে; হাতিয়ে নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা। নতুন মৌসুমে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ার পরও পেঁয়াজের দাম এখনো আকাশচুম্বী। বাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ১৬০ টাকা। মৌসুমেও অল্প সময়ের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা মূল্যবৃদ্ধিতে বেশ চাপে রয়েছে খেটে খাওয়া জনগোষ্ঠী। এতে বোঝা যাচ্ছে সিন্ডিকেট চক্রের কারণেই তথা মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ী চক্র বাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। অথচ ব্যবসায়ীরা বরাবরের মতোই ব্যবসায়ীরা দায় এড়াতে একে ওপরকে দোষারোপ করছেন। সিন্ডিকেটের হাত থেকে বাঁচতে হলে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিগত দিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামী দিনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়াও মধ্যস্থকারী ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো উচিত। এবং কারসাজিকারীরা বাজারে নানা অনিয়ম ও মনিটরিংয়ে ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে। বাজারে হাত বদলের সংখ্যা কমাতে হবে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এমনটা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই সুযোগ যেন তারা না পায় সেজন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নিত্যপণ্যে জিম্মি করে যারা ভোক্তাদের পকেট কাটছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।