হেমন্তবিকালে আয়না সময়ের পিঠা উৎসব

লাবণ্য লিপি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
শেয়ার :
হেমন্তবিকালে আয়না সময়ের পিঠা উৎসব

তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। চারদিকে কুয়াশার চাদর বিছিয়ে দিচ্ছে হেমন্তের বিকাল। এ সময় গ্রামবাংলায় শুরু হয় পিঠাপুলি উৎসব, মাঠে মাঠে সোনালি রঙের পাকা ধান বাতাসে দোল খায়, কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে ধান কাটায়। নতুন ধানের চাল দিয়ে ঘরে ঘরে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়; ভাপা, চিতই, দুধচিতই, পাটিসাপটা, তেলের পিঠা, নারিকেলের কুলি পিঠা, গোকুল পিঠা, ম্যারা পিঠা, দুধপুলি, নকশি পিঠা, একই সঙ্গে খেজুর রস ও খেজুর গুড়ের পায়েস। এটিকেই বলে নবান্ন উৎসব।

নাগরিক ব্যস্ততায় নবান্ন উৎসব যেন ঠাঁই পেয়েছে বইয়ের পাতায়। তবে আশার কথা এই যে, এখন নিজে বানিয়ে খাওয়ার সময় না পেলেও খুব সহজেই অর্ডার করে আপনি পেতে পারেন শীতের মজার মজার পিঠা। এ নিয়ে কাজ করছেন অনেক নারী উদ্যোক্তা। তাদের প্রত্যেকের ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে আপনি চাহিদামতো অর্ডার করলেই একদম ঘরে তৈরি পিঠা নিজ ঘরে বসেই পেতে পারেন। সম্প্রতি তাদের নিয়েই দৈনিক আমাদের সময়ের লাইফস্টাইল বিভাগ ‘আয়না সময়’-এর উদ্যোগে অফিসের কনফারেন্স রুমে হয়ে গেল পিঠাপুলি উৎসব। এতে অংশ নেন দেশের সাত রন্ধনশিল্পী নারী উদ্যোক্তা। তারা হলেন আফরোজা খানম মুক্তা, নয়না আফরোজ, শাহনাজ ইসলাম, ফারজানা আনোয়ার, মিতা দীপ, সিমা রউফ ও ফারজানা বাতেন।

বিকাল হতেই উদ্যোক্তারা একে একে আসতে থাকেন তাদের তৈরি পিঠা নিয়ে। পিঠার মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

কর্মীদের উপস্থিতিতে জমে ওঠে উৎসব। শুরুতেই আমাদের সময়ের সিনিয়র সাব-এডিটর ও আয়না সময়ের বিভাগীয় সম্পাদক লাবণ্য লিপি সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রন্ধনশিল্পীদের। এর পর আয়োজন সম্পর্কে আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাইনুল আলম বলেন- আজ যারা আমাদের এ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন, দূর দূর থেকে কষ্ট করে পিঠা তৈরি করে নিয়ে এসেছেন; আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের হাতে তৈরি গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব পিঠা সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মের জানা দরকার। আমরা আমাদের পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই আপনাদের উদ্যোগের কথা।

আমাদের সময়ের উপদেষ্টা সম্পাদক ড. খোন্দকার শওকত হোসেন বলেন, সুন্দর সময়োপযোগী এই আয়োজনের জন্য আয়না সময় বিভাগ প্রশংসার দাবিদার। এ ধরনের আয়োজন আমাদের হারানো ঐতিহ্যকে আবার ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। আমরা মনে করি, এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা আরও অনেক বেশি পাঠকদের কাছাকাছি যেতে পারব। আয়না সময় বরাবরই পাঠকদের জন্য এমন আয়োজন করে থাকে। আপনারা যারা আয়না সময়ের সঙ্গে আছেন, বিভিন্নভাবে আয়না সময়কে সমৃদ্ধ করে চলেছেন; আমরা আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে এ আশ^াস দিচ্ছি, আমাদের সময় নারী উদ্যোক্তাদের যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবে। এর পর একে একে রন্ধনশিল্পীরাও তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, কোনো রন্ধনশিল্পীই নিজের রান্না নিজে খেতে চান না। অন্যদের খাইয়েই তারা তৃপ্তি পান। আজ আমাদের তৈরি করা পিঠা সবাই তৃপ্তিসহকারে খাচ্ছেন- এটি দেখে খুব ভালো লাগল। এমন আয়োজনে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন লাবণ্য লিপি।

আরও পড়ুন:

খোঁ জ খ ব র