কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে
শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে তরিতরকারির দাম কমেছে; কমেছে মাছ-মাংসসহ মুরগি ও ডিমের দামও। তবে এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, আলু ও পেঁয়াজ। বিশ্ববাজারে গমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বাজারে আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে। খোলা আটার কেজি এখন ৫০ টাকা, প্যাকেট আটার কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৬৫ ও প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির বাজারেও অস্থিরতা। খোলা চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। এ ছাড়া বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নেই বললেই চলে। তা মিললেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
চলতি বছরের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু বাজারে চালের দাম কমেনি। মাসখানেক আগে খুচরা পর্যায়ে যতখানি বেড়েছিল, এখনো ওই দরেই বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের কেজি এখন ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। চাল-আটার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে সাধারণ মানুষের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের নীতিগত সহায়তা ও নিজস্ব ব্যবস্থাপনা- উভয়ই প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
বৈষম্যের ছোবলে নারীর শ্রমবাজার
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের দাম কমে গেলে সরকার আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে উৎপাদকদের স্বার্থ রক্ষা করে থাকে। একইভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে আমদানি শুল্ক কমিয়ে বাজার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব। আরেকটি উপায় হচ্ছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কম দামে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। কিছু ক্ষেত্রে সরকার টিসিবির মাধ্যমে সেটি করেও থাকে। বর্তমানে যেভাবে চাল, গম, চিনিসহ যেসব পণ্যের দাম এখনো বাড়তি- এতে টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বিস্তৃত করতে হবে। একই সঙ্গে আমরা মনে করি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি রোধে নিয়মমাফিক বৈঠকই যথেষ্ট নয়, নীতিনির্ধারকদের কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন:
ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন মানবজাতি