বারেকটিলায় হাতির আক্রমণ চলছেই
ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল বাংলাদেশের ভেতরে এসে সীমান্ত এলাকার ফসলি জমি, বাড়ি ও গাছের ক্ষতি করছে। এতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বারেকটিলায় বসবাসকারী পাঁচ শতাধিক আদিবাসী ও বাঙালি মানুষ ক্ষতির পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন-রাত পার করছেন। গত ১০-১২ দিন ধরে রাত ১২টার দিকে আসে, আবার ভোর হলেই চলে যায় বন্যহাতিগুলো।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে জাদুকাটা নদী দিয়ে বারেকটিলা ও বরগোফটিলা এসে জমির আলী, আক্তার মিয়া, শংকর মারাকের তিন বিঘার পাকা ধানের জমি নষ্ট করেছে; ঘর ও গাছপালা ভাঙচুর করেছে। স্থানীয়রা আগুন জ্বালিয়ে বিভিন্নভাবে শব্দ সৃষ্টি করেও কোনোভাবেই বন্যহাতির দলকে বিরত রাখতে পারেনি। রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে সকালের দিকে নিজ থেকে আবারও একেই পথ দিয়ে চলে যায়।
বড়গোফটিলার বাসিন্দা শতবছর বয়সী হাজী আব্দুর রহমান বলেন, বন্যহাতির দল প্রায় সারাবছরেই ভারত থেকে জাদুকাটা নদী দিয়ে নেমে এসে আমাদের ফসলি জমি, বাড়িঘর ভাঙচুর করে। হাতির দল এলে রাতে আর দুচোখের পাতা এক করতে পারি না। ভয়ে থাকি কখন জানি আক্রমণ করে।
মাঝেরটিলার বাসিন্দা রবাট আরেং বলেন, ভারতের মেঘালয় কয়লা উত্তোলন করতে গিয়ে পাহাড়ের গাছপালা পরিষ্কার করার কারণে বন্যহাতিরা খাবার না পাওয়ায় ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ সীমান্তে চলে আসে। মেঘালয়ের বসবাকারী খাসিয়াদের প্রতিটি বাড়িতেই বন্দুক আছে নিজেদের বিপদে ও হাতি আক্রমণ করলে হাতির ওপর গুলি ছুড়ে। এ কারণেও হাতির দল ভয়ে আমাদের এলাকায় চলে আসে।
উত্তর বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া বলেন, হাতির আক্রমণে কেউ আহত না হলেও অনেকের ফসলি জমি নষ্ট করেছে, অনেকের গাছপালা ও বসতবাড়ি ভেঙেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যাতে করে হাতিগুলো ভারত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে না পারে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।