উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৪২
শেয়ার :
উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডের চারজন পেসারের গতি, সুইং আর বাউন্সে ভেঙে পড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাজুক ব্যাটিং লাইনআপ। হ্যামিলটনে তৃতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ১৬১ রানে অলআউট হয় ক্যারিবীয়রা। সিরিজ আগেই নিশ্চিত করা অল ব্ল্যাকস ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে। ২০২০ সালের শুরু থেকে ঘরের মাঠে তারা কেবল দুটি ওয়ানডে হেরেছে-ফলেঘরের মাঠে তাদের আধিপত্য আরও দৃঢ় হলো।

পুরুষদের ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে পরপর সিরিজ জয়ের ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার (১৭) পরেই আছে নিউজিল্যান্ড (১১)।

ইনজুরির কারণে অনুপস্থিত ছিলেন বিশ্বের এক নম্বর ওয়ানডে ব্যাটার ড্যারিল মিচেল। তাকে ছাড়া রান তাড়া করতে নেমে কিছুটা লড়াইয়ের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ১১ ওভারের মধ্যেই হারায় তিন উইকেট। টম লাথামও দ্রুত ফিরে গেলে ৭০–৪ তে বিপদে পড়ে দল। তবে মার্ক চ্যাপম্যান ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ম্যাচ উদ্ধার করেন।

চ্যাপম্যান ৬৩ বলে ৬৪ রানের দাপুটে ইনিংস খেলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। নতুন বলে হুমকি সৃষ্টি করা জেডেন সিলস ও ম্যাথিউ ফোর্ডকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সামাল দেন তিনি। ব্রেসওয়েলের সঙ্গে তার ৭৫ রানের জুটি (৪৮ বলে) জয়ের ভিত গড়ে দেয়।

শেষদিকে চ্যাপম্যান ও স্যান্টনার আউট হলেও ব্রেসওয়েল (৪০*) ও জ্যাক ফক্স বাকি কাজ সেরে নেন। প্রায় ২০ ওভার হাতে রেখেই ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করে ৪৬.১ ওভারে ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের ইনিংসে ১৪ ওভারই অপচয় হয়। ইনিংস ধসানোর মূল কারিগর ম্যাট হেনরি, ৪৩ রানে নেন ৪ উইকেট। কাইল জ্যামিসন, জ্যাকব ডাফি ও ফক্স ভাগ করে নেন আরও চারটি উইকেট। ব্যাটিং গভীরতায় ঘাটতি স্পষ্ট ছিল ক্যারিবীয়দের দলে।

হেনরি ম্যাচের শুরুতেই চাপ তৈরি করেন। পঞ্চম ওভারেই তুলে নেন দুই ওপেনার-আকিম অগাস্তে ও কেসি কার্টিকে। জ্যামিসন চারপাশে গতিময় বাউন্সারে জন ক্যাম্পবেলকে (২৬) স্লিপে ক্যাচ করান। রোস্টন চেজের ৩৮ ছাড়া আর কেউ ২৫-এর ঘরও ছুঁতে পারেননি।

শাই হোপ ১৬ রান করে ফক্সের ইনসুইংয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। সেখান থেকেই ধস নামে-৭৭/৪।

নিউজিল্যান্ডের বোলাররা ক্রস-সিম, স্ক্র্যাম্বল-সিমে উইন্ডিজ ব্যাটারদের চাপে রাখেন। রাদারফোর্ড, চেজ ও শামার স্প্রিংগার সবাই বাউন্সারে আউট হন। হাতের চোট নিয়ে চিকিৎসা নিতে হয় চেজকে। তাকে দুর্বল দেখে পরের ওভারেই তুলে নেন হেনরি।

শেষ জুটিতে পিয়েরে ও সিলস ১৮ রান যোগ করলেও হেনরি আবার আঘাত করে ইনিংস শেষ করেন।

স্যান্টনারও তার প্রথম ওভারেই গ্রিভস ও ফোর্ডকে আউট করে ধস নামাতে ভূমিকা রাখেন।

জবাবে সিলস–ফোর্ডদের আঘাতে নিউজিল্যান্ডও শুরুতে চাপে পড়ে। সিলস ডেভন কনওয়েকে (হুক করতে গিয়ে) লং-লেগে ক্যাচ করান, এরপর উইল ইয়ংকেও ফেরান। ফোর্ড তার স্বভাবসুলভ অ্যাঙ্গেলে রাচিন রাভিদ্রাকে (১৪) বোল্ড করেন। লাথাম আউট হলে ৭০–৪ তে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা।

তবে চাপ সামলে চ্যাপম্যান ধীরে শুরু করে সময়মতো গতি বাড়ান-২৯ বলে ১৩ থেকে ৫৮ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান। ফোর্ডের এক ওভারেই নেন ৪, ৬, ৪, ৪-ধ্বংস করেন তার বোলিং ফিগার। ব্রেসওয়েল দাঁড়িয়ে থাকায় আর বিপদ হয়নি নিউজিল্যান্ডের।

স্কোরকার্ড:

নিউজিল্যান্ড ১৬২/৬ (চ্যাপম্যান ৬৪, ব্রেসওয়েল ৪০*, সিলস ২–৩৫, ফোর্ড ২–৪৬)

বনাম

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬১ (চেজ ৩৮, হেনরি ৪–৪৩, ডাফি ২–২৭, স্যান্টনার ২–২৭)

ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়