খেলেছেন বাংলায়, কেন জন্মস্থান ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন শামি

স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০১
শেয়ার :
খেলেছেন বাংলায়, কেন জন্মস্থান ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন শামি

এবারের বিশ্বকাপে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। অথচ প্রথম ৪ ম্যাচে সুযোগই পাননি তিনি। পরে হার্দিক পান্ডিয়ার চোটে জায়গা করে নেন। শেষ ৭ ম্যাচ খেলে ২৪টি উইকেট নিয়ে তিনিই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার বোলিং ফিগার ছিল ৫৭ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট। এবারের বিশ্বকাপে যেটি সবচেয়ে সেরা বোলিং ফিগার।

তাই শামিকে নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ মামলা চলছে তার। ক্রিকেটে নিজের শুরুর দিকটিও মসৃণ ছিল না এই পেসারের। জন্ম উত্তরপ্রদেশে হলেও সেই রাজ্যের হয়ে ক্রিকেট খেলতে পারেননি তিনি। অনেক বঞ্চনা-অপমান সইতে হয়েছে তাকে। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়ে খেলেছেন শামি। 

একটি সাক্ষাৎকারে শামি বলেছেন, ‘দুই বছর উত্তরপ্রদেশের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলাম। ভালো পারফর্ম করলেও ফাইনাল রাউন্ড এলেই রাজ্যের ক্রিকেটকর্তারা আমাকে লাথি মেরে বাইরে বের করে দিতেন। ওদের আচরণ বলতো, ‘‘এখানে কোনো প্রয়োজন নেই তোমার।’’

আরও একটি দুঃসহ অভিজ্ঞতা শামির। বলেন, ‘পরের বছরে একই ঘটনা ঘটে। প্রায় ১ হাজার ৬০০ ছেলে এসেছিল ট্রায়াল দিতে। তিন দিনে সবাইকে দেখে রঞ্জি ট্রফির দল দেওয়ার কথা ছিল। তখন আমার সঙ্গে বড়ভাইও ছিলেন। সেবারও আমার পারফরম্যান্স ভালো ছিল, তবে সুযোগ হয়নি। এক কর্তা আমার ভাইকে ডেকে বলেছিলেন, ‘‘তোমার ভাই যদি আমার চেয়ার নাড়িয়ে দিতে পারে তাহলে সুযোগ আসবে। না হলে সুযোগ নেই। আমি দুঃখিত।... সেই কথা শুনে অপমানিত বোধ করেছিলাম এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আর যাই হোক উত্তরপ্রদেশের হয়ে খেলব না।’

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১৭ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে আসামের বিপক্ষে বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় শামির। অবশ্য এবারের বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফরম্যান্সের কারণে উত্তরপ্রদেশেও স্বীকৃতি পাচ্ছেন তিনি। তার গ্রামে একটি ছোট স্টেডিয়াম করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী।