সাংবাদিককে ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ
সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান তৈয়্যবের
দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে বাসা থেকে নিয়ে গিয়ে ডিবি পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী তৈয়্যব।
গত মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঢাকার বাড্ডার বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ধারী পাঁচজন ব্যক্তি সাংবাদিক সোহেলকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া সীমা। তিনি জানান, তাঁদের একজন ‘আশরাফুল’ পরিচয় দিয়ে বলেনÑ ডিবির প্রধান তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান এবং কিছু সময় পরই তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক সোহেলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, তাঁদের পেশাগত সংগঠনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোহেলকে ডিবি হেফাজতে নেওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ ওঠে এই ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এর জেরে গতকাল ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিনের স্বাক্ষর করা একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়Ñ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক মাধ্যমে দাবি ওঠেÑ এই অভিযানের সঙ্গে নাকি ন্যাশনাল ইকুয়েপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা বিশেষ সহকারী ফয়েজ তৈয়্যবের যোগসূত্র রয়েছে। এই দাবিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘উদ্দেশ্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে এনইআইআর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অবৈধ হ্যান্ডসেট নিয়ন্ত্রণে বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেছে। এরপরও একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে আমাকে জড়িয়ে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়েছে।’
বিবৃতিতে ফয়েজ তৈয়্যব অভিযোগ করেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করে। এখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতার সুযোগই নেই। অথচ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে ফয়েজ তৈয়্যব আরও বলেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত কোনো পরিচয় নেই। তারপরও আমাকে জড়িয়ে এমন প্রোপাগান্ডা মুক্তমত প্রকাশের পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অসত প্রচারে প্রভাবিত না হয়।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন