একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমেরিকা খুবই বাস্তববাদী দেশ। ১৯৭১ সালে তারা আমাদের সঙ্গে ছিল না। কিন্তু বিজয় অর্জনের পর জাতিসংঘের সদস্য পদের জন্য আমেরিকা আমাদের সমর্থন দিয়েছে। অতীতের মতো সরকার গঠনের পর এবারও তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে। শুক্রবার সিলেটে হযরত শাহজালাল (র) মাজারে জুমার নামাজ আদায় শেষে নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় দেশে নির্বাচনের জোয়ার বইছে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশিদের কথা চিন্তা করে লাভ নেই। বিদেশিরা খামাখা অনেক সময় ত্যক্ত করে। তারা ভালো উপদেশ দিলে সেটা নেওয়া হবে, কিন্তু যদি খড়্গ হয়ে যায় তাহলে আমরাও প্রতিরোধ করতে জানি।
গণতান্ত্রিক কোনো দেশেই নির্বাচনের সময় সরকার পদত্যাগ করে না- উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, বিদেশিদের কথা চিন্তা করে লাভ নেই। বিশ্বের কোনো দেশেই নির্বাচনের সময় সরকার পদত্যাগ করে না। আমেরিকায়ও ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। বাংলাদেশেও তাই হবে এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। দেশের অবস্থা এখন খুব ভালো। দেশে নির্বাচনের একটি জোয়ার বইছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব।
‘সব দল নির্বাচনে আসতে শুরু করেছে। নাশকতা বাদ দিয়ে জনসমর্থন যাচাইয়ের জন্য বিএনপির উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে আসা।’- যোগ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন
পররাষ্ট্র সচিবের সাম্প্রতিক ভারত সফর বিষয়ে একে আবদুল মোমেন বলেন, এটি রুটিন সফর। পররাষ্ট্র সচিবের ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যকার ছোটখাটো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়।
কাজের জন্য বিদেশে যাওয়া ৪৭ শতাংশ লোকই ফিরে আসছে বলেও দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এদের অধিকাংশ কোনো কাজ জানে না। কেয়ার ভিসায় অনেকে গেছেন, কিন্তু ইংরেজি জানে না। এভাবে ভুয়া তথ্যে, কাজ ছাড়া বিদেশ গেলে রাস্তায় থাকতে হবে। ফক্কররা (ধোঁকাবাজ) তাদের পাঠিয়েছে। তাই টাকা খরচ করে বিদেশে গেলে, জেনেশুনে কাজের নিশ্চয়তা নিয়ে যাওয়া উচিত। তা না হলে প্রতারণার শিকার হয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে হবে।
আরও পড়ুন:
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় এক নম্বরে ঢাকা