শততম টেস্টে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেন মুশফিক
মিরপুর শের-ই- বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ ঐতিহাসিক দিন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি বিশেষ এক উপলক্ষও বটে, জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার মুশফিকুর রহিম তার ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে মাঠে নেমেছেন, যা বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের প্রথম। মাইলফলক এই ম্যাচে প্রথম দিন শেষে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ৯০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রান তুলেছে।
দুই ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ এখন ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে। সিলেটে প্রথম টেস্টে তারা আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে। দ্বিতীয় টেস্টে টাইগারদের লক্ষ্য পরিষ্কার, সিরিজটি ধবলধোলাই করে শেষ করা।
শততম টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে মিরপুরে মুশফিকের জন্য বিশেষ আয়োজন রাখা হয়েছে। দলের সতীর্থরা এবং স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরাও এই মাইলফলকের মুহূর্তকে উদ্যাপন করেছেন। বিসিবি থেকে তাকে স্মারক উপহার তুলে দেওয়া হয়।
বুধবার ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান ও সাদমান খেলছিলেন সাবলীলভাবেই। তবে ৩৫ রান করে ফিরলেন সাদমান। ডানহাতি স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন সাদমান। ফিল্ড আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলে রিভিউ নেন অ্যান্ডি বলবার্নি। সফল হন তিনি।
ম্যাকব্রাইনের দ্বিতীয় শিকারে ফেরেন ওপেনার মাহমুদুল। বড় শট খেলতে গিয়ে ৩৪ রান করে ফিরেছেন মাহমুদুল। অনেকক্ষণ ধরেই কিপটে বোলিং করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছিলেন আইরিশ বোলাররা। সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই হয়তো বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন মাহমুদুল।
ডানহাতি স্পিনার ম্যাকব্রাইনের ছক্কা মেরে ৮৮ বলের বাউন্ডারি খরা কাটিয়েছিলেন নাজমুল। তবে পরের বলেই হয়ে গেলেন বোল্ড। ৮ রান করেছেন নাজমুল।
শততম টেস্টে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তিনি মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে ২১৪ বলে ১০৭ রান করেন। অবশেষে মুমিনুল ৬৩ রানে আউট হন । তিনি ১২৮ বলে একটি চারে ম্যাকব্রাইনের চতুর্থ শিকার হন তিনি।
এরপর বাংলাদেশের আর কোনো বিপদ হয়নি। মুশফিক পঞ্চম উইকেট জুটিতে লিটন দাসের সঙ্গে ১৬০ বলে ৯০ রান তোলেন। মুশফিক ১৮৭ বলে ৫টি চারে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন। আর লিটন দাস ৮৬ বলে ২টি চারে ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।