দারুণ জয়ে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস
তিনবারের বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট নেদারল্যান্ডস ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে। সোমবার ঘরের মাঠে লিথুয়ানিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এই কীর্তি গড়ে তারা। গ্রুপ–জি'র শীর্ষে থেকে তারা তিন পয়েন্টের ব্যবধানে পোল্যান্ডকে পেছনে ফেলেই কোয়ালিফাই করেছে।
ডাচদের আধিপত্য ছিল এমনই যে, ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। শেষ পর্যন্ত ২০ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিতভাবেই গ্রুপ পর্ব শেষ করে তারা। পোল্যান্ড ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছে মাল্টার মাঠে কষ্টার্জিত ৩-২ জয়ের পর।
১৬তম মিনিটে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের পাস ধরে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিখুঁত শটে গোল করে নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে দেন তিজান রেইয়োন্ডার্স।
পোল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ ড্রয়ের ম্যাচে তিনি একাদশে ছিলেন না; তার জায়গায় আক্রমণাত্মক মিডফিল্ড ভূমিকায় খেলেছিলেন জাস্টিন ক্লুইভার্ট। কিন্তু ক্লুইভার্টের চোটের কারণে এবার সুযোগ পেয়েই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেন রেইয়োন্ডার্স।
৩০তম মিনিটে মাঝমাঠ ভেদ করে উঠে তার দারুণ বাঁকানো শট পোস্টে লেগে ফেরত না আসলে দ্বিতীয় গোলটিও পেতে পারতেন তিনি।
৫৮তম মিনিটে ভিএআর চেকের পর পেনাল্টি পাওয়া যায় নেদারল্যান্ডসের পক্ষে। ম্যাথাইস ডি লিকটের সঙ্গে লড়াইয়ে লিথুয়ানিয়ার আর্তেমিজুস টুত্যস্কিনাস বল হাত দিয়ে স্পর্শ করেছিলেন। স্পট কিক থেকে সহজেই গোল করেন কোডি গাকপো।
এক মিনিট পর, ৬০তম মিনিটে জাভি সিমন্স দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শক্তিশালী শটে নেদারল্যান্ডসকে ৩-০ তে এগিয়ে নেন।
এর মাত্র দুই মিনিট পর কাউন্টার আক্রমণে মাঝমাঠ থেকে দৌড়ে উঠে দ্রুতগতি দেখিয়ে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে বাঁ পায়ে দুর্দান্ত শটে চতুর্থ গোলটি করেন ডনিয়েল ম্যালেন।
কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য আগামী বছরের টুর্নামেন্ট হবে ডাচদের ১২তম বিশ্বকাপ অংশগ্রহণ। ১৯৭৪, ১৯৭৮ ও ২০১০-এই তিন আসরে তারা রানার্স-আপ হয়েছিল।