শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় ৪ আসামি রিমান্ডে
পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন হত্যা মামলায় দুই শুটারসহ চার আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামান শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন শুটার মো. ফারুক হোসেন ফয়সাল, শুটার রবিন আহম্মেদ পিয়াস, মো. রুবেল ও শামীম আহম্মেদ।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর ওই চার আসামিসহ ৫ জনের অস্ত্র মামলায় ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে রোববার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর মো. সাজ্জাদ হোসেন ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি মো. ইউসুফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
১১ বছরেও বিচারে অগ্রগতি নেই
শুনানিকালে হত্যা মামলায় ৪ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ সাইফুর রহমান সুমন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
অ্যাডভোকেট সুমন শুনানিতে বলেন, ‘আসামিরা সন্ধিগ্ধ আসামি। এজাহারে নাম নেই। তারা এজাহারনামীয় না। প্রয়োজনে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’
শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়, যা আগামি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
পুরান ঢাকার আদালত পাড়ার কাছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকে ১০ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে গুলি করে হত্যা করা হয় মামুনকে। মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার রীপা শনিবার ঢাকার সূত্রাপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
সেই মামলার বিবরণে বলা হয়, ‘কতিপয় দুষ্কৃতিকারী’ দিনে-দুপুরে জনম্মুখে মামুনকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি জোনাল টিমের এসআই কৃষ্ণ কুমার দাস ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছায়া তদন্ত শুরু করেন। ছায়া তদন্তকালে এ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার স্বপক্ষে তথ্য পেয়ে বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে তথ্য দিলে আসামি ইউসুফ মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজারের রশিদ ম্যানশনের পেছনের একটি বাড়ি থেকে দুটি পিস্তল ও গুলি বের করে দেন। জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে ফারুক ও রবিন হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র শনাক্ত করেন। তারা দুজন একাধিকবার গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। তারা ‘স্বীকার করেন’, দুই লাখ টাকা পেয়ে তারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। এর মধ্যে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৪০ টাকা এবং হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
আমাদের সময়/জেএইচ