ঘাড়ের চোটে কলকাতা টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন গিল
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে চলমান প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ঘাড়ের পেছনে হাত দিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরেছিলেন শুভমান গিল। রোববার তৃতীয় দিনের শুরুতে বিসিসিআই জানায়, এই টেস্টে গিল আর অংশ নিতে পারবেন না।
বিসিসিআই জানায়, দিনের খেলা শেষে গিলকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং তিনি এখনো সেখানেই পর্যবেক্ষণে আছেন। তাকে টেস্টের বাকি অংশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বিসিসিআইয়ের মেডিকেল টিম তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাবে।
শনিবার রাতেই গিলের খেলা চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর অনুযায়ী, ঘাড়ের টান অনুভব করায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতাল নেওয়া হয়। তখন তার গলায় নেক ব্রেস দেখা গেছে এবং দলের চিকিৎসকরাও সঙ্গে ছিলেন।
হারমারের করা বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করার পরপরই গিল অস্বস্তি অনুভব করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ফিজিওকে ডাকেন। এরপর তিনি বাধ্যতামূলক অবসরে যান এবং আর ব্যাট করতে নামেননি। ভারত ১৮৯ রানে অলআউট হয়।
রোববার খেলা শুরুর আগে সম্প্রচারকারীরা গিলকে কোচিং স্টাফ ও মেডিকেল টিমের এক সদস্যের সামনে ঘাড়ের ব্যায়াম করতে দেখেন। এর আগেও ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, ঘাড়ে ব্যথার কারণে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট মিস করেছিলেন।
চোটটিকে “দুর্ভাগ্যজনক” বলে উল্লেখ করে ভারতীয় বোলিং কোচ মরনে মরকেল জানান, গিলের ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগ নেই। মর্কেলের ভাষায়, ‘গিল খুবই ফিট ক্রিকেটার, নিজেকে ভালোভাবেই প্রস্তুত রাখে। সকালে ঘুম থেকে উঠে তার ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, আর সেটাই দিনজুড়ে বহন করেছে। ওকে ঘিরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ তখন আমাদের দরকার ছিল।’
গিল মাঠে না থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের সময় ভারতকে নেতৃত্ব দেন ঋষভ পন্ত।