ব্র্যাডম্যান, হ্যাডলির পরই শান্ত
ফিফটি করলেই ক্ষ্যান্ত হন না নাজমুল হোসেন শান্ত। সেটিকে শতকে পরিণত করার দারুণ প্রবণতা আছে তার। তাতে হয়ে গেল একটি রেকর্ডও। যেই রেকর্ডে শান্তর ওপরে কেবল অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার জর্জ হ্যাডলি।
টেস্টে পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পর সেঞ্চুরি করার শতাংশে শান্তর ওপরে থাকা ব্র্যাডম্যান ও হ্যাডলির ক্যারিয়ার অবশ্য অনেক সমৃদ্ধ। ৩৮ টেস্ট ম্যাচ খেলে ১৩ বার পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন শান্ত। এর মধ্যে ৮ বারই শতক হাঁকিয়েছেন তিনি। শতাংশের হিসেবে যা ৬১.৫৪।
অন্তত দুই হাজার রান করেছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে ইতিবাচক এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি ছিল ব্র্যাডম্যানের। পঞ্চাশ পেরোনোর পর ৬৯.০৫ শতাংশ ইনিংসেই তিনি পেরিয়েছেন এক শ। টেস্টে তাঁর সেঞ্চুরি ২৯টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হ্যাডলি ৪০ ইনিংসে সব মিলিয়ে ১৫ বার পঞ্চাশ পেরিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ১০টিতে, শতাংশের হিসাবে তা ৬৬.৬৭। যথাক্রমে ৫৮.৩৩ শতাংশ ও ৫৫.৫৬ শতাংশ নিয়ে পরের দুই স্থানে ভারতের শিখর ধাওয়ান ও শুভমান গিল।
তবে এগুলো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করেন না শান্ত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে জিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে শান্ত বলেন, ‘চিন্তা করে করি না, চেষ্টা করি যখন থিতু হই, চেষ্টা থাকে যে কীভাবে আমি বড় রান করতে পারি দলের জন্য।...মাত্র ৩৮ ম্যাচ খেলছি। এখনই এত লম্বা চিন্তা করছি না। এত ভালো ভালো কথা শোনার আসলে অভ্যাস আমার নেই। মুশফিক ভাই ৯৯টা টেস্ট খেলে ফেলেছে, তেমন বা ১০০–১৫০ ম্যাচ খেলার পরে যদি এ রকম ধারাবাহিক থাকতে পারি, তাহলে আমি বলতে পারব, মনে হয় ভালোভাবে আমার ক্যারিয়ারটা শেষ করতে পেরেছি।’
অধিনায়কত্ব পেলেই ভালো খেলেন শান্ত। তার ৮টি শতকের ৪টিই অধিনায়ক থাকা অবস্থায়। অধিনায়কত্বের চাপ থাকে কি না এমন প্রশ্নে শান্তর উত্তর, ‘আমি ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পছন্দ করি। আমার ভেতরে একবারের জন্যও মনে হয় না আমি অধিনায়ক হিসেবে খেলছি। চিন্তা করি যে কীভাবে ব্যাটসম্যান হিসেবে অবদান রাখতে পারি। ওইটাই মূল নজর থাকে। আর যখন অব দ্য ফিল্ড বা ফিল্ডিংয়ে থাকি, তখন অধিনায়ক হিসেবে আমার যে দায়িত্বগুলো পালন করার, তা করি।’