হামজার জোড়া গোলেও জয় পেল না বাংলাদেশ
২০২০ সালের ঠিক আজকের দিনে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামেই নেপালের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই জয়ের পর দলটির বিপক্ষে সর্বশেষ ৫ ম্যাচেই জয়হীন লাল-সবুজরা। হামজা চৌধুরীর অসাধারণ দুই গোলে আজ সেই খরা কাটানোর দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ। তবে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল হজম করে টানা ষষ্ঠ ম্যাচে জয়হীন থাকার হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জামাল ভূঁইয়াদের।
১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের আগে প্রস্তুতি হিসেবে নেপালের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে একাদশে কিউবা মিচেল ও শমিত সোমকে ছাড়াই আজ খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে আমেরিকান প্রবাসী জায়ান আহমেদকে খেলানো হয় শুরু থেকেই। নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম দিনে মাঝমাঠেই খেলা হয়। একাধিক কর্নার পেলেও সুবিধা করতে পারছিলেন না জামালরা।
বাংলাদেশ প্রথম বড় সুযোগ পায় ম্যাচের ২৬তম মিনিটে। নেপাল বক্সের কাছাকাছি ফাহিমের পা হয়ে বল গিয়েছিল রাকিবের কাছে। ফাহিম ফিরতি বল পেলেও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। নেপাল গোলকিপার বল নিজের নাগালে নিয়েছেন।
যদিও ৩ মিনিট পরই সুযোগ কাজে লাগায় নেপাল। চাপের মধ্যে থাকা নেপাল আচমকাই বল নিয়ে ঢুকে যায় বাংলাদেশের রক্ষণে। কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে নিচু শটে বল জালে জড়ান রোহিত চাঁদ। পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ আক্রমণে ধার বাড়ায়। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে আক্রমণে কিছুটা গতি দেখা গেলেও আসল কাজটি হয়নি। বাংলাদেশ বিরতিতে যায় এক গোলে পিছিয়ে থেকে।
বিরতির পর প্রথম মিনিটেই গোল পেয়ে গেল বাংলাদেশ। বক্সে বল পেয়ে দুর্দান্ত এক ওভারহেডে বাংলাদেশকে সমতায় আনেন হামজা। বাংলাদেশ দলের হয়ে এটি তার তৃতীয় গোল। সমতা আনার তিন মিনিট পরই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এবারও সেই হামজা, গোল পেলেন পেনাল্টিতে। ৪৮তম মিনিটে রাকিব হোসেন নেপাল বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। পানেনকা শটে কোনো ভুল করেননি হামজা।
এরপরও ম্যাচে দাপট দেখায় বাংলাদেশ। তবে শেষ মুহূর্তে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন লাল-সবুজ খেলোয়াড়রা। কর্নার থেকে আসা বলে পা ছুঁইয়ে নেপালকে সমতায় ফিরিয়েছেন অনন্ত তামাং। আরও একবার ড্রয়ের হতাশায় মাথা নোয়ান হামজা-শমিতরা।