বোমা হামলার পরও পাকিস্তান সফর চালিয়ে যেতে নির্দেশ শ্রীলংকার
ইসলামাবাদে মঙ্গলবারের আত্মঘাতী বোমা হামলার পর দলের কয়েকজন সদস্য দেশে ফিরতে চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, পাকিস্তানে চলমান সফর চালিয়ে যেতে খেলোয়াড় ও সহায়ক কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে শ্রীলংকা ক্রিকেট (এসএলসি)।
বুধবার এক বিবৃতিতে এসএলসি জানায়, দলের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ‘বর্তমানে পাকিস্তান সফরে থাকা জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন সদস্য নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা জানিয়ে দেশে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন।’
বোর্ড জানায়, তারা তাৎক্ষণিকভাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং আশ্বস্ত করেছে যে, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে সকল নিরাপত্তা উদ্বেগ যথাযথভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে, যাতে সফররত দলের প্রতিটি সদস্যের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়।’
তবে এসএলসি নির্দেশ দিয়েছে যে, সকল খেলোয়াড়, সহায়ক কর্মী ও ব্যবস্থাপনা যেন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সফর চালিয়ে যায়। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কেউ নির্দেশ অমান্য করে দেশে ফিরলে তাদের পরিবর্তে বিকল্প খেলোয়াড় পাঠানো হবে, যাতে সিরিজের কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যদি কোনো খেলোয়াড় বা সহায়ক কর্মী এসএলসির নির্দেশনা অমান্য করে দেশে ফিরে যায়, তবে তাদের আচরণের বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা করা হবে এবং সেই পর্যালোচনা শেষে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে, ইসলামাবাদের একটি আদালতের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে বেশ কয়েকজন শ্রীলংকান ক্রিকেটার সিরিজ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া যায়।
রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান শ্রীলংকাকে ৬ রানে হারায়। বাকি দুটি ম্যাচ বৃহস্পতিবার ও শনিবার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া, জিম্বাবুয়ে অংশগ্রহণকারী ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজটি আগামী ১৭ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
এই ঘটনাটি ২০০৯ সালের লাহোর সন্ত্রাসী হামলার দুঃসহ স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে, যখন বন্দুকধারীরা শ্রীলংকান দলের বাসে হামলা চালিয়ে ছয়জন খেলোয়াড়কে আহত করেছিল এবং প্রায় এক দশকের জন্য পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।