সেমিফাইনালের প্রাথমিক তালিকায় আহমেদাবাদ-কলকাতা
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল আয়োজনের জন্য আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম ও কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সকে প্রাথমিক তালিকায় রেখেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও শ্রীলংকা ক্রিকেট (এসএলসি) যৌথভাবে আয়োজন করবে এই টুর্নামেন্টটি। এ উপলক্ষে আইসিসি মোট আটটি ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে।
ভারতের পাঁচ শহর-মুম্বাই, দিল্লি, চেন্নাই, আহমেদাবাদ ও কলকাতা। শ্রীলংকার তিনটি ভেন্যু-দুটি কলম্বোতে ও একটি ক্যান্ডিতে বাছাই করা হয়েছে। তবে ফাইনাল কোথায় হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। আইসিসি জানিয়েছে, ফাইনালের ভেন্যু নির্ভর করবে কোন দলগুলো ফাইনালে পৌঁছায় তার ওপর। বিশেষ করে যদি পাকিস্তান ফাইনালে ওঠে, তাহলে ম্যাচটি হবে কলম্বোতে। অন্যথায় আহমেদাবাদকে ফাইনালের সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সেমিফাইনালের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। যদি পাকিস্তান বা শ্রীলংকা শেষ চারে পৌঁছায়, তাহলে তাদের ম্যাচটি হবে কলম্বোতে। তবে দুই দলই যদি সেমিফাইনালে না ওঠে, তাহলে দুই সেমিফাইনালই অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। ফাইনাল পাকিস্তান অংশ নিলে শ্রীলংকাতেই আয়োজন করা হবে।
আইসিসির ১৭ অক্টোবরের এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবারের বিশ্বকাপেও ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংস্করণের মতো একই ফরম্যাটে খেলা হবে। ২০ দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে, প্রতিটি গ্রুপে পাঁচটি করে দল। ১৩টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ ছাড়াও কানাডা, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল, ওমান ও নামিবিয়া জায়গা করে নিয়েছে মূল পর্বে। ইউরোপের ইতালি এবার প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে।
গ্রুপ পর্ব শেষে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল নিয়ে হবে সুপার এইট পর্ব। এরপর দুটি গ্রুপের সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনাল। আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সুপার এইটে দুই গ্রুপে চারটি করে দল থাকবে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সেমিফাইনালে উঠবে।’
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত, যারা ২০২৪ সালের জুনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। আইসিসি শিগগিরই বিশ্বকাপের সম্পূর্ণ সূচি ও গ্রুপ বিভাজন প্রকাশ করবে।
আইসিসির বাইরে সাইকিয়া–নাকভি বৈঠক
এদিকে জানা গেছে, সম্প্রতি দেবজিত সাইকিয়া ও মহসিন নাকভির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি আইসিসির আনুষ্ঠানিক সভার বাইরে হয়েছিল। যদিও কয়েকজন আইসিসি কর্মকর্তার সহায়তায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, তবে এটি আইসিসির আলোচ্যসূচির অংশ ছিল না এবং আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো সভায় বিষয়টি ওঠেনি।
সূত্র জানিয়েছে, এই বৈঠক মূলত এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক সমাধানের লক্ষ্যে হয়েছিল। উভয় বোর্ডের কর্মকর্তারা বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। বৈঠকটি ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠিত।