গার্দিওলার মাইলফলক ম্যাচে লিভারপুলকে উড়িয়ে দিল সিটি
পেপ গার্দিওলার কোচিং ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচ দুর্দান্ত এক জয় দিয়েই রাঙালেন তার ম্যানচেস্টার সিটির শিষ্যরা। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল সিটিজেনরা। তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর আবারও পথ হারাল আর্না স্লটের দল।
সিটির হয়ে গোল দেন আর্লিং হলান্ড, নিকো গনাজালেস ও জেরেমি ডোকু। যদিও শুরুতে একটি পেনাল্টিও মিস করেন হলান্ড। ২০২৩ সালের এপ্রিলের পর এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলকে হারাতে পারল সিটি, মাঝে চার ম্যাচে জয়হীন ছিল তারা। এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে সাত জয় ও এক ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট হলো ২২। সমান ম্যাচে তাদের চেয়ে ৪ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। আর পঞ্চম হার দেখা লিভারপুল ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে নেমে গেল।
এদিন ম্যাচের নবম মিনিটেই সুযোগ পায় সিটি। বক্সে ঢুকে পড়া ডোকুকে সামাল দিতে পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন লিভারপুল গোলরক্ষক জিওর্জি মামারদাশভিলি। ফলে মাটিতে পড়ে যান ডোকু। ভিএআর দেখে পেনাল্টি দিলেও হলান্ডের নেওয়া কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন মামারদাশভিলি। ২০২৩-২৪ মৌসুমের শুরু থেকে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে মামারদাশভিলির (৬) চেয়ে বেশি পেনাল্টি সেভ করতে পারেননি আর কোনো গোলরক্ষক।
অবশ্য সিটিকে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ২৯তম মিনিটে ডান দিক থেকে মাথিয়াস নুনেসের ক্রসে হেডে দলকে এগিয়ে নেন সেই হলান্ড। ১১ ম্যাচে ১৪টি গোল নিয়ে এবারের লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই। সব মিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ১০৮ ম্যাচে তার গোল এখন ৯৯টি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সিটি। বক্সের বাইরে থেকে নিকো গনজালেসের শট লিভারপুল ডিফেন্ডার ফন ডাইকের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। ৬৩তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে সিটি। এবার ডোকু করেন চোখধাঁধানো এক গোল। শেষ পর্যন্ত এটাই হয়ে থাকে স্কোরলাইন।