শেয়ারধারীদের ক্ষতিপূরণ বিবেচনা করা হতে পারে : বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৫
শেয়ার :
শেয়ারধারীদের ক্ষতিপূরণ বিবেচনা করা হতে পারে : বাংলাদেশ ব্যাংক


শরিয়াভিত্তিক দুর্বল পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি আপাতত বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ক্ষুদ্র শেয়ারধারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এফসিডিওথর কারিগরি সহায়তা ও মতামত নিয়ে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ করা হয়েছে। এ আইনে রেজল্যুশন প্রক্রিয়ায় আমানতকারী, শেয়ারহোল্ডারসহ পাওনাদারদের

অধিকার স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা আছে। অধ্যাদেশের ধারা ১৬(২)(ট), ২৮(৫), ৩৭(২)(গ) ও ৩৮(২) অনুসারে রেজল্যুশনের আওতাধীন ব্যাংকের শেয়ারধারক, দায়ী ব্যক্তি, এডিশনাল টিয়ার-১ ও টিয়ার-২ মূলধন ধারকদের ওপর লোকসান আরোপের ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে ধারা ৪০ অনুযায়ী, রেজল্যুশনের বদলে অবসায়ন হলে শেয়ারহোল্ডাররা যে ক্ষতির মুখে পড়তেন, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হলে, সেই পার্থক্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, আন্তর্জাতিক কনসালটিং ফার্মের এ-কিউ-আর ও বিশেষ পরিদর্শনে দেখা যায়, উল্লিখিত পাঁচ ব্যাংক বিশাল লোকসানে রয়েছে এবং তাদের শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ঋণাত্মক। এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংকিং সেক্টর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর সমগ্র লোকসানের দায়ভার শেয়ারহোল্ডারদের বহন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশের অধীনে শেয়ারধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি আপাতত বিবেচনার সুযোগ নেই। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, সরকার চাইলে ক্ষুদ্র শেয়ারহোল্ডারদের আর্থিক স্বার্থ রক্ষায় ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

এর আগে গত বুধবার এই পাঁচ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে তাদের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পরপরই ব্যাংকগুলোয় প্রশাসকও নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ উপলক্ষে গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ব্যাংকগুলোর শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, ব্যাংকগুলোর বর্তমান যে আর্থিক পরিস্থিতি, তাতে শেয়ারধারীরা অর্থ পাবেন না।