প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতে ভারতের ইতিহাস
দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রোটিয়া মেয়েদের ৫২ রানের বড় ব্যবধানে হারান হারমানপ্রীত কৌরের দল।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম সংস্করণে এসে প্রথম ট্রফির দেখা পেল ভারত। এর আগে ২০০৫ ও ২০১৭ আসরে রানার্সআপ হয়ে খুশি থাকতে হয়েছিল। অন্যদিকে প্রথমবার ফাইনালে উঠে শিরোপা ছোঁয়ার কাছ থেকে ফিরে যেতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
রবিবার নাভি মুম্বাইয়ে ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করা ভারত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান করে। জবাবে ৪৫.৩ ওভারে ২৪৬ রানে শেষ হয় প্রোটিয়াদের ইনিংস।
২৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫১ রান তোলেন দুই ওপেনার লরা উলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটস। ব্রিটস ৩৫ বলে ২৩ রান করে রান আউট হন। এরপর এন্নকে বশ ও মারিজান কাপ দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে দ. আফ্রিকা। সুনে লুস (২৫) ও সিনালো জাফটাও (১৬) নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আন্নেরি ড্রেকসেনের সঙ্গে ৬১ বলে ৬১ রান তুলে প্রোটিয়াদের ফের স্বপ্ন দেখান উলভার্ট। এই ওপেনার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরিও তুলে নেন। তবে দুই ওভারের ব্যবধানে তারা দুজনেই আউট হন। ড্রেকসেন ৩৭ বলে ৩৫ রান করে দিপ্তি শর্মার বলে আউট হন। উলভার্টকেও দিপ্তি বিদায় করেন। এই তারকা ব্যাটার ৯৮ বলে ১১টি চার ও একটি ছক্কায় ১০১ রানে দুর্দান ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে নাডিন ১৯ বলে ১৮ রান করে শুধু ব্যবধানই কমান।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দিপ্তি সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট পান। ২টি উইকেট দখল করেন শেফালি।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে ভারত। উদ্বোধনী জুটিতে স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা ১৭.৪ ওভারে ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ক্লোন টাইরনের বলে স্মৃতি ৪৫ রানে আউট হন। তিনি ৫৮ বলে ৮টি চার হাঁকান। তবে অসাধারণ ইনিংস খেলেও সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে আউট হন শেফালি। তিনি ৭৮ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৭ রান করে আয়বোঙ্গা খাকার বলে আউট হন।
এ দুজন আউট হলেও মিডল ও লোয়ারঅর্ডার রানের চাকা সচল রাখেন। বিশেষ করে দিপ্তি শর্মা ৫৮ রান করে দলের রান তিনশর কাছাকাছি নিয়ে যান। তিনি সমান ৫৮ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় তার ইনিংস সাজান। এছাড়া রিচা ঘোষ ২৪ বলে ৩৪ রান করেন।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান খাকা। এছাড়া ননকুলুলেকো ম্লাবা, নাডিন ডি ক্লার্ক ও টাইরন একটি করে উইকেট পান।