হোয়াইটওয়াশ হয়ে শিশিরকে দায় দিলেন লিটন

স্পোর্টস ডেস্ক
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৭
শেয়ার :
হোয়াইটওয়াশ হয়ে শিশিরকে দায় দিলেন লিটন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে শুক্রবার টাইগাররা হেরেছে ৫ উইকেটে। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার বদলে অধিনায়ক লিটন দাস দায় দিলেন রাতের শিশিরকে।

প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। শেষ ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২০ ওভারে বাংলাদেশ থেমে যায় মাত্র ১৫১ রানে-যা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনায়াসেই টপকে যায়। কিন্তু ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটনের দৃষ্টিতে বিষয়টা ভিন্ন। তার মতে, রান যথেষ্টই ছিল, কিন্তু রাতের শিশিরই বদলে দিয়েছে ম্যাচের চিত্র।

লিটনের ভাষায়, ‘আপনি যদি ভালো উইকেটে খেলেন, ব্যাটাররা রান করবেই। আজকের ম্যাচে আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছি। উইকেট তখন শুকনো ছিল, বল গ্রিপ করছিল ঠিকঠাক। কিন্তু পরে শিশির পড়ায় উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য অনেক সহজ হয়ে যায়। আমরা আবহাওয়া বা শিশির নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, এটা সম্পূর্ণ ভাগ্যের বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে তেমন শিশির ছিল না, কিন্তু আজ পুরোপুরি প্রভাব ফেলেছে। আমরা যেমন ভেবেছিলাম, তারাও তিনজন বাঁহাতি স্পিনার খেলিয়েছে, মানে তারাও টার্ন আশা করেছিল। কিন্তু শিশির পড়ার পর সবকিছুই তাদের পক্ষে চলে যায়।’

বাংলাদেশের ইনিংসে একমাত্র আলো ছড়ান ওপেনার তানজিদ হাসান, যিনি ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। কিন্তু তার বিদায়ের পর দলের কেউই কার্যকর ইনিংস খেলতে পারেননি। সাইফ হাসান ২২ বলে ২৩ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন, বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।

ফিল্ডিংয়েও হতাশা যোগ হয়। শুরুতেই দুইবার জীবন পান আমির জাঙ্গু, আর বিধ্বংসী ফিফটি করা আকিম ওগিসও জীবন পান ২৭ রানে। এসব সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশের বোলাররা ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনাও হারান।

তবুও লিটনের বিশ্বাস, দলের চেষ্টায় ঘাটতি ছিল না-ভাগ্যটাই ছিল প্রতিকূলে।

‘আমাদের বোলাররা চেষ্টা করেছে, কিন্তু শিশির পড়ায় উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো হয়ে গিয়েছিল। আমরা যদি প্রথম ইনিংসে ২০০ রানও করতাম, সেটাও যথেষ্ট নাও হতে পারত। কারণ বল ভিজে গেলে উইকেটে ব্যাটিং অনেক সহজ হয়ে যায়। আসলে শিশির পুরো ম্যাচটার গতিপথই পাল্টে দিয়েছে।’

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও লিটনের মতে, সব দায় খেলোয়াড়দের নয়-বড় ভূমিকা ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা শিশিরের।