ঝড়ের আভাস দিয়ে দেড় শ রানও করতে পারল না উইন্ডিজ
দলীয় ১ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করেন আলিক আথানেজ ও অধিনায়ক শেই হোপ। মাত্র ৫৯ বলে যোগ করেন ১০৫ রান। তবে ঝড়ের এই আভাস দিয়েও শেষদিকে বাংলাদেশের বোলারদের দৃঢ়তায় ১৪৯ রানে আটকে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতেও টসে হারেন লিটন দাস। ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন হোপ। দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পায় টাইগাররা। ব্যান্ডন কিংকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করেন আথানেজ ও হোপ।
তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আথানেজ যখন ফেরেন তখন ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বল শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১০৬। রান যখন দুই শ ছুঁইছুঁই হওয়ার কথা, তখনই আগুনে বোলিং শুরু করেন নাসুম আহমেদ-রিশাদ হোসেনরা। শেষ ৫২ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবিয়ানদের রান মাত্র ৪৩। যেখানে প্রথম ৬৮ বলে ১ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে ফেলে দলটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন হোপ। ৩৬ বলের ইনিংসে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান আসে আথানেজের ব্যাটে। তিনিও ছক্কা হাঁকান তিনটি, তবে ৫বার বল গড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন। এর বাইরে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৭ রান করেন রোস্টন চেজ।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে মাত্র ২১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেনে তিনি। সমান ওভারে ৩৫ রান খরচায় নাসুমের শিকার ২ উইকেট। ৩ ওভার বোলিং করে রিশাদও ২ উইকেট নেন। তাসকিনের শিকার একটি উইকেট।