টানা দ্বিতীয় হার বসুন্ধরা কিংসের

স্পোর্টস ডেস্ক
২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৩
শেয়ার :
টানা দ্বিতীয় হার বসুন্ধরা কিংসের

লেবাননের চ্যাম্পিয়ন আল-আনসারের বিপক্ষে পুরো ম্যাচজুড়েই ছন্দহীন ছিল বসুন্ধরা কিংস। দুই অর্ধে গোল করেছে প্রতিপক্ষ, আর বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলের আধিপত্য বিস্তারকারী দলটি হার মানে নিস্তেজ পারফরম্যান্সে।

মঙ্গলবার কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এএফসি কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে কিংস হেরে যায় ৩-০ গোলে। আল-আনসারের হয়ে প্রথমার্ধে গোল করেন আবুবাকার আকুকি, দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান খালফাল্লাহ হিকেম, আর যোগ করা সময়ে জালে বল জড়িয়ে বড় জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মাদ হেবাউস।

প্রথম ম্যাচে ওমানি ক্লাব আল-সাইবের বিপক্ষে লড়াই করে ৩-২ গোলে হেরেছিল কিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই লড়াকু মনোভাবও দেখা যায়নি মারিও গোমেসের শিষ্যদের মধ্যে। গ্রুপ ‘বি’-এর সব ম্যাচই হচ্ছে কুয়েতে, যেখানে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শুক্রবার কিংস মুখোমুখি হবে স্বাগতিক আল-কুয়েতের।

ম্যাচের শুরুটা মোটামুটি ভালোই ছিল কিংসের জন্য। প্রথম ১৫ মিনিটে তারা বেশ উজ্জীবিত ফুটবল খেললেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রাকিব হোসেন; তার ডান পায়ের শট ক্রসবারের অনেক ওপরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।

এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে নেয় আল-আনসার। ৩২তম মিনিটে প্রথম হুমকি আসে মাজেদ ওসমানের পা থেকে, যিনি তপু বর্মনকে কাটিয়ে শট নেন, তবে তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

অবশেষে ৪৩তম মিনিটে ভাঙে কিংসের প্রতিরোধ। ফ্রি কিক থেকে দূর প্রান্তে উঠে আসা আবুবাকার আকুকির হেড ক্লিয়ার করতে গিয়ে গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ ও দোরিয়েলতন একসঙ্গে বল ধরতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন। শ্রাবণের গ্লাভস ছুঁয়ে বল গড়ায় জালের ভেতর।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও আধিপত্য বিস্তার করে আল-আনসার। ৫৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেলেও শ্রাবণ দুর্দান্ত সেভে রুখে দেন আলি তেনইচের শট। এর আগে এমানুয়েল আগবাজি বক্সে ফাউল করেছিলেন মোহাম্মাদ হেবাউসকে।

তবে ৭৩তম মিনিটে আর রক্ষা হয়নি। এবার আবুবাকারকে ফাউল করায় দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় আল-আনসার, আর খালফাল্লাহ হিকেম ঠান্ডা মাথায় সেটি গোল করেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, আগবাজির সামান্য স্পর্শেই পড়ে যান আবুবাকার, পরে ভারসাম্য হারিয়ে তার ওপর পড়ে যান তপু বর্মনও—তবে সিদ্ধান্ত বদলায়নি রেফারি।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও আক্রমণভাগে কোনো প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারেননি রাকিব, দোরিয়েলতন বা জীবনেরা। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমানুয়েল সানডের শট ৬৪তম মিনিটে লক্ষ্যে না লাগলে শেষ আশাও নিভে যায়।

অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে হেবাউসের তীক্ষ্ণ কোনাকুনি শটে গোললাইন অতিক্রম করলে ৩-০ ব্যবধানে নিশ্চিত হয় বসুন্ধরা কিংসের টানা দ্বিতীয় পরাজয়।

পেনাল্টি বাঁচানো ছাড়া শ্রাবণই ছিলেন কিংসের একমাত্র উজ্জ্বল দিক। তার না থাকলে হারের ব্যবধান হয়তো আরও লজ্জাজনক হতে পারত।