ছয় থেকে সাত পর্যন্ত ব্যাটারদের মধ্যে আমার ছক্কাই সবচেয়ে কম: লিটন

স্পোর্টস ডেস্ক
২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৫৪
শেয়ার :
ছয় থেকে সাত পর্যন্ত ব্যাটারদের মধ্যে আমার ছক্কাই সবচেয়ে কম: লিটন

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছক্কা হাঁকানোর বিকল্প নেই। বাংলাদেশ দল আগে এই জায়গাতে বেশ দুর্বল ছিল। তাইতো ২০ ওভারের ক্রিকেটে ফলালফলও নিজেদের পক্ষে আনা খুব কষ্ট হতো। তবে সময়ের সঙ্গে বদলেছে বাংলাদশের ব্যাটিংয়ের ধরন। দলের অনেকেই এখন নিয়মিত ছক্কা হাঁকান। 

দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে এই ছক্কা হাঁকানোরর সামর্থ্যে খুশি অধিনায়ক লিটন দাস। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত লিটনের চেয়েও ছক্কার দিক দিয়ে বর্তমান বাংলাদেশ দলের অনেকে এগিয়ে। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম‍্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন একথা বলেন। 

লিটনের ভাষ্য, ‘দলে যতগুলো ক্রিকেটার আছে ছয় থেকে সাত পর্যন্ত যত ব্যাটার আছে তাদের মধ্যে আমার ছয়ের সংখ্যা কম। দলের এখন বেশির ভাগ ক্রিকেটারই বড় বড় ছয় মারতে পারেন। এটা বাংলাদেশ দলের জন্য ইতিবাচক দিক। কিন্তু একই সঙ্গে ক্রিকেট শুধু ছয়ের ওপর দিয়ে গেলে হবে না। যদি প্রয়োজন হয় ছক্কা মারবে। অন্যথায় প্রয়োজন পড়লে এক দু্ই রানের দিকেও যেতে হবে।’

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বড় লক্ষ্য বাংলাদেশের। সেই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য ৬ ম্যাচ পাবে টাইগাররা। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ছাড়াও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে ৩ ম্যাচ। এই ৬ ম্যাচে অনায়াস জয়ের চেয়ে চ্যালেঞ্জই পেতে চান লিটন। 

বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি দুইটা সিরিজে চাই, যেন আমাদের খেলোয়াড়রা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সেটা ব্যাটিংয়ে হতে পারে, বোলিংয়ে হতে পারে। আমি মনে করি, এই ছয়টা ম্যাচে আমরা যতটা পিছিয়ে থাকব, ততটাই ভালো। ব্যাকফুটে থাকব, এর অর্থ… চ্যালেঞ্জের কথা বলছি। এই না যে, আমরা ম্যাচে পিছিয়ে থাকব। আমি চাই, বোলাররা যখন বল করবে তখন যেন চাপ থাকে। যে জিনিসগুলো ভবিষ্যৎ মানে সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, সেখানে আমাকে সাহায্য করবে।’

ওয়ানডেতে ভালো না করলেও টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল করছে বাংলাদেশ। এর পেছনের রহস্য নিয়ে লিটন বলেন, ‘সংস্করণ ভেদে না ক্রিকেটারের মানসিকতা বলেন বা আগ্রাসনটা একটু পরিবর্তন হয়ে যায়। উইকেট ভেদেও হয়, সংস্করণ ভেদেও হয়। তাই আমার মনে হয়, যেহেতু এই সংস্করণটা খেলোয়াড়রা জানে, অনেকদিন ধরে খেলছে এবং বেশিরভাগ খেলোয়াড় সফল হয়েছে। তো তারা জানে যে কোন ঘরানার ক্রিকেট খেললে এখানে সফল হওয়া যাবে।’